আগরতলা, ২১ অক্টোবর : হাতে গোনা কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই আলোর উৎসব দীপাবলি। এই উৎসবকে ঘিরে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ১২ মাসের ১৩ পার্বনের অন্যতম একটি পার্বন আলোর উৎসব দীপাবলি। গৃহস্থের কুড়ে ঘর থেকে শুরু করে শহুরে অট্টালিকাতেও রকমারি লাইটের পাশাপাশি মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। কিন্তু ডিজিটাল যুগে রকমারী এলইডি রাইস লাইটে ভরে থাকে বাজার। আর এই রঙিন টুনি লাইটের চাকচিক্যে যেন হারিয়ে যেতে চলেছে মাটির প্রদীপ। কিন্তু সেই জায়গাতেও আলোর উৎসবের দিনগুলিতে ইলেক্ট্রনিক লাইটের সাথে টক্কর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে মাটির প্রদীপ।
রাজ্যের বিভিন্ন অংশের পেশাধারী মৃৎশিল্পীরা এখন দিন রাত এক করে মাটির প্রদীপ তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে মাটির প্রদীপ তৈরির কাজ। রাজ্যে এমনও বহু শিল্পী আছেন যাদের সংসার এই মৃৎশিল্পের উপরই নির্ভরশীল। তাই দীপাবলির আগেই ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে বাজারে প্রদীপের সম্ভার সাজানোর জন্য তৈরি হচ্ছেন শিল্পীরা। প্রতিবছরই ছোট -বড় বিভিন্ন মাপের প্রদীপ তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন। উৎসবের মরসুমে বাড়তি রোজগারের আশায় বাড়ির বড়দের সঙ্গে সেই কাজে হাত লাগিয়েছেন ছোটরাও। প্রাচীন পরম্পরা অনুযায়ী মাটির প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমেই দীপাবলি উৎসবের সূচনা হয়। তাই বহু মানুষের মধ্যে আজ মাটির প্রদীপ ক্রয় করার আগ্রহ দেখা যায়। এবছর মাটির তৈরি প্রদীপের চাহিদাও অনেকাংশে বেড়েছে বলে দাবী করছেন মৃৎশিল্পীরা। দীপাবলী উৎসব উপলক্ষে প্রদীপের চাহিদা কেমন থাকবে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মৃৎ শিল্পীরা।