—- সুপ্রভাত দেবনাথ।
আগরতলা, ২০ অক্টোবর।। ঘড়ির কাঁটা এবং জাতীয় ফুটবলের লীগ পর্যায়ের ম্যাচ। দুটো বিষয় ঠিক সমানতালে বললে কম বুঝাবে। একেবারে সমান্তরালে, এমন নিখুঁত আয়োজনের প্রকৃত বাস্তবায়ন সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনোত্তর ত্রিপুরায় প্রথম ঘটেছে বলা চলে। ঐতিহাসিক মুহূর্ত ঠিক সাড়ে নয়টায়। উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে সিনথেটিক টার্ফ মাঠে অনারম্বর আয়োজনের মধ্যেই সুশৃংখল নিয়মানুবর্তিতার পরিস্ফুটন। ত্রিপুরা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণব সরকার একদিকে টি এফ এ-র পতাকা উত্তোলন করছেন, অপরদিকে ঠিক ৯:৩০ মিনিটে ম্যাচ শুরুর ঐতিহাসিক বাঁশির আওয়াজ রেফারি প্রিয়ব্রত সিং লাঙ্গপোক লাকপাম এর মুখ থেকে। সামগ্রিক আয়োজনের সুশৃংখল বাস্তবায়নে অত্যন্ত অকৃত্রিম খুশি ম্যাচ কমিশনার সুদেষ্ণা মুখার্জি সঠিক সময়ে অনলাইনে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী উপাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামের নামাঙ্কিত খেলার আপডেট দিতে পেরেছেন। সেটাও ত্রিপুরার জন্য অনেকটা গৌরবের। ২৯ তম সিনিয়র মহিলা জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ তথা রাজ মাতা জিজা ভাই ট্রফি ২০২৪-২৫ এর গ্রুপ স্টেজ বিশেষ করে জি গ্রুপের খেলায় চারটি দল সিকিম, গুজরাট, চন্ডিগড়, ত্রিপুরার ছটি ম্যাচ ঘিরে মোট বাজেট ২১ লক্ষ টাকার মধ্যে ১৭ লক্ষ টাকার কিছু বেশি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন প্রদান করলেও সুনিপুন ও যথার্থ আয়োজনের নিরিখে টিএফএ-র প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজ্য সরকারের ক্রীড়া দপ্তর আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন বলে অনুমেয়। মুখ্যত, উপযুক্ত সময় পেয়ে টিএফএ সামগ্রিক আয়োজন সাফল্যমন্ডিত করে তুলতে প্রয়োজনীয় নয়টি উপ-কমিটি গঠন এর মধ্য দিয়ে মূলতঃ কাজের বিকেন্দ্রীকরণ এ ধরনের প্রথমবারের মতো জাতীয় সিনিয়র ফুটবলের যথার্থ আয়োজন সম্ভব হয়েছে বলে ক্রীড়া মহলের অভিমত। প্রথম দিনের দুবেলায় দুটি ম্যাচ দারুন ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী চারটি ম্যাচ ও প্রত্যাশিত সাফল্যের সঙ্গে শেষ হবে বলে ধারণা করেই রাজ্যের ক্রীড়া জগতে কদিনের জন্য আবারও দিন গুনবে। কেননা আগামী নভেম্বর মাসেই ১৫, ১৭ এবং ১৯ তারিখ ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৭৮তম জাতীয় সন্তোষ ট্রফির ডি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নশীপের খেলা। যেখানে স্বাগতিক ত্রিপুরা সহ মনিপুর, সিকিম, মিজোরাম রাজ্য দল অংশ নিতে আসবে।