ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা।। জাতীয় ফুটবল আসরে উত্তর-পূর্ব ভারতের জয়জয়কার। উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে রবিবার যেন
গোলের বন্যা। আর ওই গোলের বন্যায় ভাসলো চন্ডিগড়। প্রথম ম্যাচে গুজরাট। জাতীয় সিনিয়র মহিলা ফুটবলের ‘জি’ গ্রুপে। ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিপক্ষ চন্ডিগড়কে পর্যুদস্ত করল ত্রিপুরা। রাজ্যদল জয় পায় ৫-০ গোলে। তবে এদিন যদি ত্রিপুরা কম করে এক ডজন গোলে জয় পেতো তাহলে অবাক হওয়ার মতো কিছু ছিল না। দুটি গোল করলেও মৌসুমী ওরাং এবং শ্রেয়া দেব একাই নষ্ট করেছেন কমপক্ষে আরও তিনটি সহজ গোলের সুযোগ। রবিবার বিকেলে হয় দু-দলের ম্যাচটি। শক্তিতে ত্রিপুরার মেয়েরা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও গতি এবং দক্ষতায় বিপক্ষকে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিয়েছে ত্রিপুরার মেয়েরা। তবে সফররত দলকে লজ্জা জনক পরাজয় থেকে রক্ষা করেছেন গোলরক্ষক আসি। কমপক্ষে একাই ছয়টি গোল রুখে দিয়েছেন ওই গোল রক্ষকটি। ম্যাচ শুরুর নয় মিনিটে গোল পেয়ে যায় ত্রিপুরা। মৌসুমী ওরাংয়ের শট চন্ডিগড়ের গোলরক্ষক ফিস্ট করে ফেরালেও পুনরায় সুযোগ পেয়ে মৌসুমী এগিয়ে দেন ত্রিপুরাকে। ২৮ মিনিটে সন্ধ্যা দেবীর লম্বা সেন্টার থেকে অনেকটা একক দক্ষতায় ব্যবধান বাড়ান মৌসুমী ওরাং। দ্বিতীয়ার্ধের ৯ মিনিটে বিপক্ষে বক্সে ঢুকে দুরন্ত শট করে ব্যবধান বাড়ান মারিনা জমাতিয়া। ২৫ মিনিটে শ্রেয়া দেব ত্রিপুরার পক্ষে ৪-০ করেন। বক্সের বাইরে প্রায় ২৫ গজ থেকে কুসুম লক্ষ্মী দেবী শট ছত্রিশগড়ের গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। ত্রিপুরা এগিয়ে যায় ৫-০ গোলে। এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও জাল নাড়াতে পারেননি ত্রিপুরার মেয়েরা। ২২ অক্টোবর ত্রিপুরা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলবে সিকিমের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচের আগে সুযোগ নষ্ট করা নিয়ে চিন্তায় ত্রিপুরার কোচ সুজিত ঘোষ। খেলা শেষে সুজিত ঘোষ বলেন, সিকিম ম্যাচে এভাবে সুযোগ নষ্ট করলে জয় পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তাই সোমবার অনুশীলনে সেই জায়গার উপরেই জোর দেওয়া হবে। এদিকে দিনের প্রথম ম্যাচের সিকিম ৪-১ গোলে পরাজিত করে গুজরাটকে। প্রথমার্ধে সিকিম ৩-১ গোলে এগিয়ে ছিল। বিজয়ী দলের পক্ষে হ্যাটট্রিকসহ চারটি গোলই করেন সিমরাণ গুরুং। শুরুতে খেলার ২৬ মিনিটের মাথায় গুজরাটের খুশবু সরোজের গোল দর্শকদের অনেকেই গুজরাটকে ফেভারিট ভেবে নেয়। কিন্তু পরক্ষণে যথেষ্ট গুছিয়ে খেলে সিকিম দুই অর্ধে পরপর চারটি গোল বেশ দক্ষতার ছাপ রেখে দেয়। প্রথম ম্যাচে সিমরান গুরুং এবং বিকেলের ম্যাচে ত্রিপুরার মৌসুমী উড়াং প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচের খেতাব পেয়েছে।