BRAKING NEWS

কদমতলা বাজারে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ: ৬৫টি দোকান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, আটক আট

আগরতলা, ৮ অক্টোবর: কদমতলা বাজারে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে ৬৫টি দোকান এবং বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে মহকুমা প্রশাসন। আজ ২০ জনকে প্রতীকীভাবে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদেরও সহায়তা দেওয়া হবে। এই ঘটনায় জড়িত আটজনকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

কদমতলা বাজার এলাকায় চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে। এর ফলশ্রুতিতে ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটে। এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নতুন আইন ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা অনুযায়ী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কদমতলা এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রয়েছে এবং সিআরপিএফ ও পিএসআর বাহিনী চারিদিকে মোতায়ন করা হয়েছে। যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ধর্মনগরে এসে পৌঁছেছেন ত্রিপুরা সরকারের সেক্রেটারি ফাইন্যান্স ব্রিজেশ পান্ডে এবং সেক্রেটারি রেভিনিউ অভিষেক সিং। তাঁরা কদমতলা এলাকায় ঘুরে দেখেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। এছাড়াও, ঝেরঝেরি এলাকায় আসাম-ত্রিপুরা গেট বন্ধ রাখা হয়েছে, যেখানে কিছু মানুষ পায়ে হেঁটে পারাপার করছে।

তাছাড়া, এলাকায় উপস্থিত রয়েছেন উত্তর জেলার জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, এসপি ভানুপদ চক্রবর্তী, ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা এবং টিএসআর ও সিআরপিএফ বাহিনীর অন্যান্য আধিকারিকরা।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তর জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন ও সেক্রেটারি ফাইন্যান্স ব্রিজেস পান্ডে পরিস্থিতির বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেন। এ ঘটনার প্রসঙ্গে গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, এবং তিনি শীঘ্রই আরও পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
এই ঘটনায় জড়িত আটজনকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *