BRAKING NEWS

স্বচ্ছ ভারত দিবস ২০২৪ : পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ০২ অক্টোবর : স্বচ্ছ ভারত মিশনের সূচনার ১০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ১৫৫তম গান্ধী জয়ন্তীতে স্বচ্ছ ভারত দিবস ২০২৪ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। অম্রুত এবং অম্রুত ২.০, গঙ্গা পরিচ্ছন্নতা জাতীয় মিশন এবং গোবর্ধন প্রকল্পের আওতায় ৯৬০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বেশ কয়েকটি পরিচ্ছন্নতা প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, স্বচ্ছতাই সেবা ২০২৪-এর এবারের থিম হল ‘স্বভাব স্বচ্ছতা, সংস্কার স্বচ্ছতা’।

এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী পূজ্য বাপু এবং লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজির জন্মবার্ষিকীর কথা উল্লেখ করেছেন এবং মা ভারতীর পুত্রদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান মহাত্মা গান্ধী এবং অন্যান্য মহান ব্যক্তিত্বদের স্বপ্নকে সমষ্টিগতভাবে বাস্তবায়িত করার প্রেরণার উৎস।

স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশনের যাত্রা কোটি কোটি ভারতবাসীর অটল অঙ্গীকারের প্রতীক। গত ১০ বছরে এই আন্দোলনে যে জনসমর্থন পাওয়া গেছে তার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিক এটিকে তাদের জীবনের একটি অংশ করে তুলেছেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের দশ বছরের মাইলফলকে প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে এক বিশাল জনআন্দোলনে রূপান্তরিত করতে সাফাইমিত্র পরিবার, ধর্মীয় নেতা, ক্রীড়াবিদ, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, এনজিও এবং প্রচার মাধ্যম সহ অন্যান্যদের প্রয়াসের প্রশংসা করেছেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযানে ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রাক্তন ও বর্তমান উপরাষ্ট্রপতির অবদানের কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন এবং দেশবাসীদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান। ভারতকে পরিচ্ছন্ন রাখতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা হয়েছে আজ। এতে ‘মিশন অমৃত’-এর অঙ্গ হিসেবে দেশের বিভিন্ন শহরে জল ও নিকাশি শোধনাগার গড়ে তোলা হবে। নমামি গঙ্গে হোক কিংবা জৈব বর্জ্যকে বায়োগ্যাসে রূপান্তরের গোবর্ধন প্রকল্প যে স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে সে কথার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশন যত সফল হবে, আমাদের দেশ তত বেশি আলোকিত হবে৷

প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেন, আগামী এক হাজার বছর পরেও ভারতকে নিয়ে সমীক্ষা করার সময় ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশন এই শতাব্দীর বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সফল গণ আন্দোলন যেখানে জনগণের অংশগ্রহণ এবং জনসাধারণের নেতৃত্ব রয়েছে৷ তিনি বলেন, এমন উদাহরণ রয়েছে যে বৃদ্ধা মায়েরা শৌচাগার তৈরির জন্য তাদের গবাদি পশু বিক্রি করেছেন, কিছু মহিলা তাদের মঙ্গলসূত্র বিক্রি করেছেন, কিছু লোক তাদের জমি বিক্রি করেছেন, কিছু অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তাদের পেনশন দান করেছেন, কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী স্বচ্ছতার মিশনে তাদের অবসরকালীন সুবিধা দান করেছেন। এই অনুদান যদি মন্দিরে বা কোনও অনুষ্ঠানে দেওয়া হত, তা হলে খবরের কাগজে বড় শিরোনাম হত । তিনি বলেন, দেশের জানা উচিত যে লক্ষ লক্ষ মানুষ রয়েছেন, যাঁদের মুখ কখনও টিভিতে দেখানো হয়নি বা খবরের কাগজে কখনও তাঁদের নাম ছাপা হয়নি, যাঁরা এই মিশনকে সফল করতে নিজেদের অর্থ এবং মূল্যবান সময় দান করেছেন। যেসব রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগে সমর্থন দিয়েছে তাদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।

চলচ্চিত্রের আকারে পরিচ্ছন্নতার বার্তা প্রচারে গত ১০ বছরে ভারতের চলচ্চিত্র শিল্পের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের কাজ শুধু একবার নয়, এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রায় ৮০০ বার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি সামনে আনার উদাহরণ দেন, যেখানে মানুষ স্বচ্ছতার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছেন। পরিচ্ছন্নতার প্রতি জনসাধারণের প্রয়াসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মহাত্মা গান্ধী স্বচ্ছতার প্রতি পথ দেখিয়েছিলেন৷তিনি বলেন, প্রথম অগ্রাধিকার হল সাধারণ নাগরিকদের জীবনকে আরও সহজ করা।

দশ বছর আগে পর্যন্ত শৌচাগারের অভাবে ভারতের ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করতে বাধ্য হত বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি মানবিক মর্যাদার পরিপন্থী এবং দেশের দরিদ্র, দলিত, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতি অসম্মান, যা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে চলে আসছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এটিকে একটি জাতীয় ও মানবিক চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে এবং এর সমাধানের জন্য একটি অভিযান শুরু করেছে এবং এখানেই স্বচ্ছ ভারত মিশনের বীজ বপন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কোটি কোটি ভারতবাসী আশ্চর্য কাজ করে দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ১২ কোটিরও বেশি শৌচাগার নির্মিত হয়েছে এবং শৌচাগারের পরিধি আগের ৪০ শতাংশেরও কম থেকে ১০০ শতাংশে পৌঁছেছে।

দেশের সাধারণ মানুষের জীবনে স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রভাব যে অমূল্য সে কথার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াশিংটন, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত একটি বিখ্যাত আন্তর্জাতিক জার্নালের সাম্প্রতিক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রতি বছর ৬০ থেকে ৭০ হাজার শিশুর জীবন বাঁচাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৩ লাখ জীবন রক্ষা পেয়েছে, যা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যেত। ইউনিসেফের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণের কারণে এখন ৯০ শতাংশেরও বেশি মহিলা নিরাপদ বোধ করেন এবং স্বচ্ছ ভারত মিশনের কারণে মহিলাদের মধ্যে সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট রোগগুলিও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। শ্রী মোদী আরও বলেন, লক্ষ লক্ষ স্কুলে মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচাগার নির্মাণের ফলে স্কুলছুটের হার হ্রাস পেয়েছে। ইউনিসেফের আরেকটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, পরিচ্ছন্নতার যোদ্ধাদের জন্য প্রতি বছর গ্রামে গড়ে ৫০ হাজার টাকা সাশ্রয় হচ্ছে, যা আগে রোগ নিরাময়ে পকেট থেকে খরচ করা হত।

স্বচ্ছ ভারত মিশনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী গোরক্ষপুরে মস্তিষ্কের জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিচ্ছন্নতার মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে একটা বিরাট মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন এসেছে। স্বচ্ছ ভারত মিশনের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি স্বচ্ছতার কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের উদাহরণ তুলে ধরেন, যাঁদের আগে অবজ্ঞার চোখে দেখা হত। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের ব্যাপক প্রসারিত পরিধির কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এটি নিছকই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি ছিল না বরং আজ পরিচ্ছন্নতা সমৃদ্ধির এক নতুন দিশা তৈরি করছে।

তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান দেশে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে এবং বিগত বছরগুলিতে কোটি কোটি শৌচাগার নির্মাণের ফলে বহু ক্ষেত্র উপকৃত হয়েছে এবং বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি বলেন, ইউনিসেফের হিসেব অনুযায়ী এই মিশনের ফলে প্রায় সওয়া কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ক্লিন-টেক সম্পর্কিত প্রায় ৫ হাজার স্টার্ট-আপ নথিভুক্ত হয়েছে। এই দশকের শেষ নাগাদ এই খাতে ৬৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং স্বচ্ছ ভারত মিশন নিশ্চিতভাবেই এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশন ভারতে বৃত্তাকার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উৎসাহ দিয়েছে৷ গৃহস্থালি থেকে উৎপাদিত বর্জ্য এখন মূল্যবান সম্পদে রূপান্তরিত হচ্ছে। গৃহস্থালি বর্জ্য থেকে কম্পোস্ট, বায়োগ্যাস, বিদ্যুৎ এবং সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত চারকোলের মতো উপকরণ উৎপাদন করা হচ্ছে। গোবর্ধন যোজনার সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, গোবর্ধন যোজনার আওতায় গ্রামজুড়ে শত শত বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে পশুর বর্জ্যকে বায়োগ্যাসে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, দেশব্যাপী শত শত কমপ্রেসড বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। আজ, বেশ কয়েকটি নতুন সিবিজি প্ল্যান্ট উদ্বোধন করা হয়েছে এবং এই উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করার জন্য নতুন প্রকল্পও স্থাপন করা হয়েছে।

নগরায়ণ ও বর্জ্য উৎপাদন মোকাবেলায় দক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দ্রুত নিশ্চিত করার কৌশল বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। শ্রী মোদী জলের অপব্যবহার এবং ব্যবহারের আগে বর্জ্য জল শোধন নিশ্চিত করার প্রয়াস গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। নমামি গঙ্গে মিশনকে নদীর পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে একটি মডেল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গঙ্গা নদী বর্তমানে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। অমৃত মিশন এবং অমৃত সরোবর উদ্যোগে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনার কথা উল্লেখ করেন তিনি এবং জল সংরক্ষণ, শোধন এবং নদী পরিষ্কার করার জন্য নতুন প্রযুক্তিতে অব্যাহত বিনিয়োগের গুরুত্বের উপর জোর দেন।তিনি বলেন, আমাদের পর্যটন স্পটগুলি, বিশ্বাসের স্থানগুলি এবং ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সুরক্ষণাবেক্ষণ করা একান্ত জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বচ্ছ ভারতের এই দশ বছরে আমরা অনেক কিছুই অর্জন করেছি, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। সত্যিকারের পরিবর্তন তখনই আসে যখন প্রত্যেক নাগরিক পরিচ্ছন্নতাকে তাদের কর্তব্য এবং দায়িত্ব হিসাবে গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রতি সরকারের অবিচল অঙ্গীকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন এবং একটি পরিচ্ছন্ন ভারত অর্জনে প্রত্যেক নাগরিকের অব্যাহত অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নতার লক্ষ্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

জেলা, ব্লক, গ্রাম এবং স্থানীয় স্তরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান রূপায়ণের মাধ্যমে রাজ্য সরকারগুলিকে আরও জোরদার করে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। পৌরসভাগুলিকে অবশ্যই ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা পাবলিক টয়লেট নিশ্চিত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদী সমস্ত নাগরিককে তাদের বাড়িতে, তাদের আশেপাশে বা তাদের কর্মক্ষেত্রে যেখানেই থাকুন না কেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার শপথ নিতে উৎসাহিত করেন। ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্য পূরণে আত্মবিশ্বাসের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন এবং নতুন শক্তি ও উৎসাহের সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর নীতি অনুসরণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাতিল, কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তোখন সাহু এবং কেন্দ্রীয় জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী ডঃ রাজভূষণ চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *