BRAKING NEWS

আজ মহালয়া: পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা, ঘরে ঘরে ধ্বনিত হচ্ছে আগমনীর বার্তা

আগরতলা, ২ অক্টোবর: আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানের মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। ঘরে ঘরে ধ্বনিত হচ্ছে দেবীর আগমনী বার্তা। এদিন পূর্বপুরুষদের শান্তি কামনায় তর্পণের রীতি রয়েছে। সেই অনুযায়ী ভোরের আলো ফুটতেই মানুষ কাতারে কাতারে নদী কিংবা দীঘির ঘাটে পিতৃপুরুষের তর্পণের জন্য হাজির হয়েছেন। এই চিত্র প্রতিবছরের ন্যায় এবছর ও দেখা গেছে। তেমনি উৎসবে মাতোয়ারা উৎসাহী মানুষের ঢলও মহালয়ার ভোরে রাজপথে আছড়ে পড়েছে। সারারাজ্যেই উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে।

এদিন আগরতলার লক্ষ্ণীনারায়ণ বাড়ী দীঘি সহ শহরের বিভিন্ন স্হানে জলাশয়ে পিতৃতর্পণের জন্য প্রচুর লোক সমাগম হয়েছে। পিতৃপক্ষের অবসানে দেবী পক্ষের সূচনা হয় অমবস্যা ছাড়ার পরই৷ এই পিতৃপক্ষের শেষ লগ্নে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তিল জল দানের জন্য সকাল থেকেই রাজধানীর লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়ি সহ বিভিন্ন পুকুরের দেখা গেল শত শত লোকের ভীড়৷ মহালয়া নয় যেন মায়ের পদধবনি৷ প্রতিটি বঙালীর হৃদয় ছুঁয়ে যায় পূজোর হাওয়ায়৷ এক পুরোহিত বলেন, বিগত প্রতিপদ থেকে শুরু করে মহালয়া পর্যন্ত এই ১৫ দিন পিতৃপক্ষ একে প্রেতপক্ষও বলা হয়৷ এই সময় পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে জল তিল উৎসর্গ করে তর্পন করা হয়৷ অম্যাবশ্য শেষ হতেই শুরু দেবী পক্ষের৷ প্রকৃত পক্ষে এদিন থেকেই পড়ে গেল পূজোর ঢাকে কাঠি ৷ রাজ্য বাসীও মেতে উঠল তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবে৷ যাঁরার পিতৃ হারিয়েছেন তাঁরা বছরে একদিন এই মহালয়ার পূর্ণ লগ্নে পিতৃপক্ষের উদ্দেশ্যে তিল দান করবেন৷

তাছাড়া মাতৃ পক্ষের শুরু মহালয়ার পুন্য তিথিতে আগরতলা পৌর নিগম ৩ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে এক বর্ণাঢব বাইক রেলির আয়োজন করা হয়েছে । এদিনের বাইক রেলিতে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, ৩ নং ওয়ার্ডের কর্পোরেটর জগদীশ দাশ সহ অন্যানরা। এদিন মহালয়ার সকালে আগরতলা শহরে বিভিন্ন জায়গায় উৎসাহী মানুষের ঢল। দেবীর আগমনকে ঘিরে আজ সকালে এমবিবি কলেজ চত্বরে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে সকলের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। উৎসবে মাতেয়ারা কলেজ পড়ুয়া সহ সকলের মধ্য সেলফি তুলতে দেখা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *