BRAKING NEWS

হাজারো পুতুল দিয়ে কাল্পনিক মন্দিরের আদলে  তৈরী হচ্ছে বিরাশিমাইলের আমরা সবাই ক্লাবের পূজো মণ্ডপ

নিজস্ব প্রতিনিধি, ধলাই, ২৪ সেপ্টেম্বর: শারদোৎসব আসন্ন, বাঙালীর শ্রেষ্ঠ পার্বনকে ঘিরে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই চলছে উদ্যোগতাদের মধ্যে অঘোষিত প্রতিযোগীতা। শহরের সাথে পাল্লা দিয়ে গ্রামেও নির্মান হচ্ছে উঁচু উঁচু প্যাণ্ডেল। সম্পূর্ন পুতুল দিয়ে অনন্য পূজো মণ্ডপ নির্মানে হাত লাগিয়েছে ধলাই জেলার বিরাশিমাইলের আমরা সবাই ক্লাব।

শরৎ মানেই উৎসবপ্রেমী বাঙালীদের কাছে প্রতিক্ষার কাল। বাংলা শরৎকাল মানেই উৎসবের আমেজে মেতেউঠার পালা। শিশির স্নাত শিউলির সুবাস আর কালফুলের মেলবন্ধন আগেই দিচ্ছিলো আগমনীর বার্তা। ইতিমধ্যেই ঢাকে কাঠি পড়েগেছে শারদোৎসবের। শাস্ত্রমতে একটি বছর পর আবারো বাপের বাড়ীতে আসছেন মা উমা। চারিদিকে তাই উমা বরনের ধুমধাম প্রস্তুতিতে লেগেপড়েছেন পূজো উদ্যোগতারা। ত্রিপুরাজুড়েও পুজোকে ঘিরে প্রস্তুতি একেবারে মধ্যগগনে। রাজ্যের শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই এখন দেবী বরনে ব্যস্ততার ধুম।

পূজোকে কেন্দ্র করে শহরের ক্লাবগুলোর মধ্যে যেমন চলছে প্রতিযোগীতার ধুম তেমনি গ্রামাঞ্চলেও তৈরী হচ্ছে চোখ ধাঁধানো গগনচুম্বী পূজো মণ্ডপ। ধলাই জেলার গ্রামীন এলাকা বিরাশিমাইলের আমরা সবাই ক্লাবের উদ্যোগে তৈরী হতে যাওয়া এমনই এক সুবিশাল প্যাণ্ডেল ল্যান্সবন্দী হলো সংবাদ মাধ্যমের।
হাজারো পুতুল দিয়ে কাল্পনিক মন্দিরের আদলে গ্রামে তৈরী হচ্ছে ক্লাবের পূজো মণ্ডপ। নবদ্বীপের শিল্পীদের দ্বারা ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে পুতুলের প্যাণ্ডেল। গ্রামীন এলাকার এই পূজোতে থাকছে মহিলা ঢাকীর বিশেষ আকর্ষন। স্থানীয় মৃৎ শিল্পীদের দ্বারা তৈরী হচ্ছে দেবী প্রতিমা। ক্লাব সম্পাদক চঞ্চু পাল এবং সদস্য বাবন দাশগুপ্তরা জানিয়েছেন, এবছর তাদের ৩১তম পূজোর আয়োজন।

বরাবরের মতোই এবারও পূজোকে অন্যমাত্রায় পৌছে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন তারা। বিগত একমাস ধরে চলে আসছে তাদের প্যাণ্ডেল নির্মানের কাজ। সবমিলিয়ে এবারে তাদের পূজোর বাজেট তেরো লক্ষ টাকা। ক্লাব কর্মকর্তা জানিয়েছেন আমরা সবাই ক্লাবের পূজো দেখতে উৎসুখ থাকেন মানুষ। তাদের পূজো বরাবরই মনকাড়ে দর্শনার্থীদের এবং গ্রামীন এলাকার এই বিগ বাজেটের পূজো দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উৎসবপ্রেমীরা ভীড় জমান। গ্রামীন পূজোয় প্রতিবছরই রাতভর দর্শনার্থীরা মণ্ডপমূখী হন যা এবছরও বহাল থাকবে বলে আশাবাদী উদ্যোগতারা।

যদিও দেবী পক্ষের সূচনা হয়নি এখনো কিন্তু তবুও হাতে সময় আর তেমন নেই। তাই দিনরাত এক করে পুতুলের মণ্ডপকে ফুটিয়ে তুলতে বহিঃরাজ্যের শ্রমিকদের চোখেমুখে যেমন ব্যাস্ততার ছাপ তেমনি সার্বিক আয়োজনে চরম ব্যাস্ত ক্লাব কর্মকর্তারাও। ক্লাবের এবারের আয়োজন বিগত বছরকে ছাপিয়ে মানুষের মন কাড়বে বলে আশাবাদী আয়োজকরা। আসন্ন পূজোকে ঘিরে সাজো সাজো রব সর্বত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *