BRAKING NEWS

অসমের অধিকাংশ জেলায় ৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রান্ত তাপমাত্রা, বিকেলের দিকে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা

গুয়াহাটি, ২৩ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : গুয়াহাটির আঞ্চলিক আবহাওয়া বিজ্ঞান দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী অসমের অধিকাংশ জেলায় আজ সোমবারও ৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে তাপমাত্রা। অত্যধিক গরমের দরুন সাধারণ জীবনযাপন ব্যাহত হয়ে পড়েছে।

গুয়াহাটির বড়ঝাড় বিমানবন্দরে অবস্থিত ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের অধিকর্তা সঞ্জয় সাউ এ ব্যাপারে জানান, পরিষ্কার আকাশ, দেখা নেই মেঘের, নেই বাতাস, তাই তাপমাত্রা হু হু করে বাড়ছে। তিনি বলেন, উষ্ণতা ৩৮.৯ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস রেকর্ড হলেও, প্ৰায় ৪৫/৪৮ ডিগ্ৰি সেলসিয়াসের গরম অনুভব হচ্ছে।

তিনি জানান, দুপুরের দিকে তাপমাত্ৰা সৰ্বোচ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিকেলের দিকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আজ সোমবার গুয়াহাটিতে সৰ্বাধিক তাপমাত্ৰা ছিল ৩৮.৯ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। সৰ্বনিম্ন ছিল ২৮.২ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। শিলচরে সৰ্বাধিক ৩৮.৮ এবং সৰ্বনিম্ন ২৮.৩ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস।

এভাবে ডিব্ৰুগড়ে সৰ্বাধিক ৩৮.৭ এবং সৰ্বনিম্ন তাপমাত্ৰা ছিল ২৯.০০ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। গোয়ালপাড়ায় সৰ্বাধিক ৩৬.৮ এবং সৰ্বনিম্ন তাপমাত্ৰা ছিল ২৮.২ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। গোলাঘাটে সৰ্বাধিক ৩৫.০০ এবং সৰ্বনিম্ন ২৯.০০ ডিডিগ্ৰি সেলসিয়াস। যোরহাটে সৰ্বাধিক ৩৭.০৭ এবং সৰ্বনিম্ন ২৭.০১, লামডিঙে সৰ্বাধিক ৩৯.০০ এবং সৰ্বনিম্ন ২৭.০১ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস।

এছাড়া মাজবাটে সৰ্বাধিক ৩৮.০০ এবং সৰ্বনিম্ন তাপমাত্ৰা ছিল ২৭.০১ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। উত্তর লক্ষ্মীমপুরে সৰ্বাধিক ৩৮.০৬ সৰ্বনিম্ন ২৪.০৪, তেজপুরে সৰ্বাধিক ৩৮.০০ এবং সৰ্বনিম্ন ২৭.০৫ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস ছিল।

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে খুব প্রয়োজন ছাড়া নগরিকদের ঘরের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়া বিভাগের অধিকর্তা। তাঁর পরামর্শ, ঘরের বাইরে বেরোতে হলে হালকা ওজনের, হালকা রঙের, ঢিলেঢালা সুতির কাপড় পরিধান করলে গরম কিছুটা কম অনুভব হয়। এছাড়া পিক আওয়ারে বাইরে গেলে অবশ্যই মাথা ঢেকে রাখতে টুপি বা ছাতা ব্যবহার করতে হবে।

এছাড়া ডিহাইড্রেশন এড়াতে পিপাসা না পেলেও পর্যাপ্ত জল পান করা অত্যন্ত জরুরি। কৃষক তথা শ্রমিকদের পিক আওয়ারে সরাসরি সূর্যালোকের দীর্ঘায়িত এক্সপোজার এড়ানো উচিত।

আরেকটি অত্যন্ত জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, কোনও অবস্থায় পার্ক করা যানবাহনে শিশু বা গৃহপালিত প্রাণী যেমন কুকুর, পাখি ছেড়ে যাওয়া চলবে না। উপরন্তু দিনের পিক আওয়ারে মিছিল, শোভাযাত্রা এবং সমাবেশের ওপর মনিটর করা খুবই প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *