BRAKING NEWS

বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত সরকারের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত : প্রদ্যোত

আগরতলা, ২৩ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশ সরকার চাকমা, হিন্দু সহ বিভিন্ন জনজাতি অংশের মানুষদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত সরকারের কড়া জবাব দেওয়া উচিত। জাতিসংঘে বাংলাদেশের মুখোশ খুলে দেওয়া উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই বিষয়ে সরকারের একাংশ নেতৃত্বরা চুপ রয়েছেন। কিন্তু আমি চুপ থাকব না। সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সুর চড়ালেন তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেবর্বমণ। সাথে তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশের মতো পরিস্তিতি ত্রিপুরায় কায়েম করা চলবে না। ত্রিপুরাকে বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তান বানালে চলবে না। তাই এরই বিরুদ্ধে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ত্রিপুরা সাব্রুমে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তিপরা মথার নেতৃত্ব, কর্মী সমর্থকরা রেলি বের করবে।

এদিন শ্রী দেববর্মন বলেন, কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার ও তিপ্রা মথার মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তির যৌথ কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই যৌথ কমিটির সদস্যরা ছিলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের উপদেষ্টা এ কে মিশ্রা, তিপরা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ, দলের সভাপতি বিজয় রাঙ্খল, ত্রিপুরা সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব, উপজাতি কল্যাণ বিভাগের সচিব সহ অন্যান্যরা।

এদিন তিনি বলনে,ওই বৈঠকে সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তিপ্রাসা জনগণের সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রতি দুই মাস অন্তর বৈঠকের আয়োজন করা হবে। আগামী বৈঠক নভেম্বরে হবে। ওই বৈঠকে ১০৩২৩ চাকুরী নিয়ে, এনএলএফটি ও এটিটিএফ – এর সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

তাঁর কথায়, উগ্রপন্থীদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কেন্দ্র সরকার এনএলএফটি ও এটিটিএফ – এর সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে। পাশাপাশি তাদের ২৫০কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু যারা উগ্রপন্থি হিংসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছ থেকে আর্থিক প্যাকেজ প্রদান করা উচিত।

এদিন তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের দিঘিনালা, খাগড়াছড়ি সহ তার আশপাশের এলাকায় চাকমা, হিন্দু সহ বিভিন্ন জনজাতি অংশের মানুষনজন ও তাদের বাড়ি ঘরের উপর ধারাবাহিক আক্রমণ চলছে। বহু পরিবার ঘরছাড়া। এই ঘটনা পূর্বকল্পিত ঘটনা। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এমনভাবে আর কতদিন চলবে। এর বিরদ্ধে সবাই একত্র হয়ে আওয়াজ না তুললে এই আক্রমনের ধারাবিকতা বজায় থাকবে।

এদিন তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার চাকমা, হিন্দু , বুদ্বিস্ট, সহ বিভিন্ন জনজাতি অংশের মানুষদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকারের আন্তর্জাতিক স্তরে কড়া জবাব দেওয়া উচিত। জাতিসংঘে বাংলাদেশের মুখোশ খুলে দেওয়া উচিত। এই বিষয়ে সরকারের একাংশ নেতৃত্বরা চুপ রয়েছেন। কিন্তু আমি চুপ থাকব না। সাথে তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশের ঘটনার কারণে ত্রিপুরায় মুসলিমদের উপর আক্রমণ করা চলবে না । বাংলাদেশের মতো পরিস্তিতি ত্রিপুরায় কায়েম করা চলবে না। ত্রিপুরাকে বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তান বানালে চলবে না। তাই এরই বিরুদ্ধে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ত্রিপুরা সাব্রুমে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তিপরা মথার নেতৃত্ব, কর্মী সমর্থকরা রেলি বের করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *