কলকাতা, ২০ সেপ্টেম্বর (হি.স.): বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার পাতার ওই চিঠিতে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের উপর দোষারোপ করেন তিনি। অল্প সময়ের ব্যবধানে বিপুল পরিমাণ জল ছেড়ে দেওয়ার ফলেই যে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় এই বিপত্তি তা নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। পুরোনো ধ্যান ধারণাকে বরং দায়ী করেছেন। মান্ধান্তা আমলের সিস্টেম ও জল ছাড়ার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ওই চিঠিতে তিনি আরও বলেছেন, প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ দুর্ভোগের শিকার। বিশেষ করে আটটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। উল্লেখ্য, গত ২০০৯ সালের পর এমন বিপর্যয়। রাজ্য সরকারের তরফেও সাধ্যমত চেষ্টা চলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। উদ্ধার কাজ চলছে যেমন তেমন ত্রাণ ও বিতরণ করা হয়েছে বন্যা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে। আটটি জেলা – পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান ও পূর্ব – পশ্চিম মেদিনীপুর। সেইসঙ্গে হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলা বন্যার ফলে দুর্যোগের পরিস্থিতির মধ্যেই আটকে রয়েছে। মানুষের ঘরবাড়ি ও গৃহপালিত প্রাণী বন্যার ফলে ভেসে গেছে। জাতীয় সড়ক বিপর্যস্ত। বহু জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গতঃ গত দুইদিন ধরে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে সমগ্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য একাধিক জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজরদারিতে ব্যস্ত।