নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ২৬ জুলাই: কীর্তিমান শিক্ষক ছেলের হাতে মার খেয়ে বাড়ি ছেড়েও রেহাই পাচ্ছেন না মা সবিতা দাস । মাসির বাড়িতে সশস্ত্র হামলার পরে লুটপাট শিক্ষক দেবব্রতের, আহত করল মাসির বাড়ির চারজনকে। ঘটনায় পুলিশের নির্বিকার ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিজনরা।
খোয়াই সরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবব্রত দাস। উনার বাড়ি কমলপুর মহকুমার সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের ছোট সুরমায়। ওই শিক্ষকের বাবার নাম সুভাষ দাস। তারা তিন ভাই। দেবব্রত, প্রসেনজিৎ এবং সুব্রত। প্রতিবেশী তথা আত্মীয়পরিজনদের অভিযোগ মারাত্মক। সুভাষ বাবু উনার শিক্ষক ছেলে দেবব্রত দাসের বাড়িতে থাকেন। বাকি দুই ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন।
অভিযোগ সুভাষ বাবু উনার স্ত্রীকে মারধর করেন। বাবার সঙ্গে মাকে যেনতেন কারনে গুণধর শিক্ষক ছেলে সুব্রত প্রতিনিয়ত মারধর করেন। প্রত্যেকদিন ছোট খাটো , ছোট ছোট ঘটনায় মার খান স্বামীর হাতে ও ছেলের হাতে সবিতা দাস।
এই অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মহিলা আশ্রয় নেন দুই মাস পূর্বে দাঁড়াং এলাকায় বাপের বাড়িতে । সেখানেও চড়াও হয় উনার স্বামী ও শিক্ষক ছেলে। নিজবাড়িতে প্রতিদিন আক্রান্ত ওই মহিলা সবিতা দাস জানান, গতকাল রাত্রিতে শিক্ষক ছেলে দলবল নিয়ে চড়াও হয় তার মাসির বাড়িতে। তার মা সেখানে আছেন এই ভেবে সে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে মেসোমশাই সজল দেবের বাড়িতে।
রাত্র আটটা নাগাদ ওই বাড়িতে ভারী ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ঘরের তিনটি দরজা ভেঙে ঢুকে মেসো মশাই , মাসি , মাসতুতো ভাই এবং মাসতুতো বোনকে লাঠিসোটা দিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যায় মাসি এবং মেসো সজল দেবের। মাসতুতো ভাই এবং মাসতুতো বোনের পা কুড়াল দিয়ে কেটে দেয়। এর পর চলে লুঠতরাজ।
ঘরের সমস্ত স্বর্ণালংকার সহ ঘর তৈরির জন্য রাখা তিন লক্ষ টাকাও লুঠ করে নিয়ে যায়। ঘরের বাইরে রাখা দুটি বাইকও ভেঙ্গে ফেলে ওই শিক্ষক ও সাঙ্গপাঙ্গরা। আহত মাসতুতো ছোট বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানায় -গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহ জনক। এলাকাবাসী চাইছেন কলংকিত শিক্ষক দেবব্রত ও তার বাবার বিরুদ্ধে যথাযথ ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।