নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ২৮ জুন: কমলপুরের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন একটি ওভারহেড ট্যাংক-এ বাসা বেঁধেছে ঝাঁকে ঝাঁকে ভীমরুল। এর আশপাশে রয়েছে কমলপুর ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়, কৃষ্ণচন্দ্র দ্বাদশ বিদ্যালয়, আনন্দ মার্গ স্কুল, রয়েছে টুরিস্ট লজ, কমলপুর আদালতের বাড়ি। এছাড়া মানুষের ঘরবাড়িও রয়েছে। অতএব যেকোনো সময় ঘটতে পারে ভীমরুলের আক্রমণ।
যদি কোনো পাখি অথবা কিছুর দ্বারা নাড়া দেওয়া হয় তাহলে কয়েক হাজার মানুষ তথা ছাত্র -ছাত্রী সহ ঐ সড়কে চলাচলকারী মানুষের বিপদ হতে পারে। কুড়ি মিটারের মধ্যে বিদ্যাজ্যোতি ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ বিদ্যালয়। ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ১৪০০ জন। ত্রিশ মিটারের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের আদালত এবং সরকারি টুরিস্ট লজ। সত্তর মিটারের মধ্যে আনন্দ মার্গ প্রাইভেট বিদ্যালয়। দুইশো মিটারের মধ্যে কমলপুর মডেল এস বি স্কুল। ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৪২৫ জন । রয়েছে পি এম শ্রী কৃষ্ণচন্দ্র বালিকা দ্বাদশ বিদ্যালয় । ছাত্রী সংখ্যা হাজারের উপর । এছাড়া রয়েছে ঘনবসতি ।
আর এই সব কিছুর জন্য বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দফতরের পানীয় জলের ওভারহেড ট্যাংক । আর এর কারণ হচ্ছে ট্যাংকে কমপক্ষে পনেরো থেকে কুড়িটি মৌমাছির বিশাল চাক। কিছুদিন আগে কমলপুর সরকারি কলেজে মৌমাছির একটি চাকে বাজপাখির হানায় মৌমাছিরা উশৃংখল আচরণ করায় আহত হয়েছিলেন প্রায় তিরিশজন জন ছাত্র ও শিক্ষক। আর এখানে পনেরো কুড়িটি বিশাল চাক রয়েছে।
জলের ট্যাংকের শীতলতা এবং উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে দিব্যি আবাস তৈরি করেছে মৌমাছিরা। মাঝে মধ্যে স্থানীয় মানুষজন এই মৌমাছির আক্রমণ সহ্যও করেন। কিন্তু যদি বাজপাখি বা চিলের মত শিকারী পাখি হামলে পরে তাহলে কি হবে? ১৫-২০ টি চাকের লক্ষাধিক মৌমাছি বা বোলতা আক্রমণ চালাবে পড়ুয়াদের উপর।
এই বিষয়ে কৃষ্ণচন্দ্র বালিকা দ্বাদশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফল শুক্লবৈদ্য চিন্তা ব্যক্ত করেন । তিনি জানান -যে উচ্চতায় এই চাকগুলো এবং যে অবস্থানে রয়েছে সেখানে স্বাভাবিক ভাবে চাকগুলো ভাঙ্গা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে আগুন ও জরুরি পরিষেবা দফতর বা দমকলের ওয়াটার গান ব্যবহার করে রাতের আধারে চাকগুলো ভাঙতে হবে বলে ধারণা করেন তিনি।
একই সঙ্গে চাক ভাঙার পর জলের ট্যাংকের বাইরের দিক গ্রিজের আবরণে ঢেকে দিলে তবেই আর বাসা তৈরি করবে না মৌমাছি । নাহলে প্রতিবছর এখানে তৈরি করবে চাক । থেকে যাবে বিপদের সম্ভাবনা । এখন প্রশাসন এই বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই তাকিয়ে আছেন শিক্ষক অভিভাবক সহ এলাকাবাসী । তবে এই বিষয়টি মহকুমা প্রশাসন থেকে অতি দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন অভিবাবক থেকে সবাই।