নিজস্ব প্রতিনিধ, চড়িলাম, ২৫ জুন:
প্রায় একুশ মাসের জরুরি অবস্থা চলাকালীন কয়েক হাজার বিরোধী দলের নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছিলো। জেলখানায় অত্যাচারে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল অনেকে। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত করেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ইমার্জেন্সির নামে কাল অধ্যায় রচনা করেছিল প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এই ২৫ জুন দিনটিকে প্রতি বছর কালো দিবস হিসাবে পালন করে বিজেপি। এবারেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কালো দিবসের অন্ধকার রাজত্বের কথা তুলে ধরেন বিজেপির সিপাহীজলা ( উত্তর) জেলা কমিটি। বিশালগড় রঘুনাথপুর স্থিত জেলা অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে আলোচনা করেন বিজেপির প্রদেশ সদস্য জহর লাল সাহা এবং বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সহসভাপতি প্রদীপ ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সাহা, সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী প্রমুখ। জহরলাল সাহা বলেন গনতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে কংগ্রেস। মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলো। বিরোধী দলকে সহ্য করতে পারেনা কংগ্রেস। একুশ মাসে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছিল। কংগ্রেস ক্ষমতা লোভী। এবারের নির্বাচনে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে শুধু ক্ষমতার লোভে। বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক বলেন জরুরি অবস্থা স্বাধীন ভারতবর্ষের কলঙ্কজনক অধ্যায়। রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি ওরা সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করেছিল। আজ ওরা গণতন্ত্রের কথা বলছে। এদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায়না। তিনি বলেন নতুন প্রজন্মের কাছে এদের মুখোশ খুলে দিতে দেশ জুড়ে প্রচারে নেমেছে বিজেপি।
এছাড়া এদিন বিশালগড় নিউ মার্কেটে আয়োজিত পথসভায় কংগ্রেস জামানায় জরুরি অবস্থার কালো আখ্যান তুলে ধরেন বিজেপির নেতৃবৃন্দ।