দুর্গাপুর, ২৪ জুন (হি. স.) : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে স্বচ্ছ পরিষেবার কাজে কড়া বার্তা দিচ্ছেন। অন্যদিকে তখন স্বজনপোষণের অভিযোগে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য। সোমবার ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়াল অন্ডালের খান্দরা পঞ্চায়েতে। ঘটনাকে ঘিরে আবারও গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় চরম অস্বস্তিতে পড়ছে শাসকদল।
উল্লেখ্য, অন্ডালের খান্দরা পঞ্চায়েতে ২৩ টি গ্রাম সাংসদের মধ্যে ২০ জন তৃণমূলের ও ৩ জন রয়েছেন সিপিএম সদস্য। গত বুধবার সুমিতা বাউরী ও আশিস নন্দী নামে দুইজন সদস্য পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সদর দরজায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সোমবার আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। কখনও পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে আবার কখনও জোরপূর্বক পঞ্চায়েতে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। তবে এবার এক- দুই জন নয়, বিক্ষোভের সামিল হলো ১০ জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ বিক্ষোভকারীরা পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘন্টা খানেক পর তালা খুলে দিলেও বিক্ষোভ চালিয়ে যান তারা।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষে আশিস ভট্টাচার্য্য, শুভাশিষ সিনহা প্রমুখ সদস্যরা জানান,” প্রধান ও উপপ্রধান স্বজন পোষন করছেন। সিপিএমের সদস্যদের নিয়ে পঞ্চায়েত চালাচ্ছে। বাকি সদস্যদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। মানুষ সঠিক পরিষেবা পায় না। রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত অফিস খোলা। সন্ধ্যার পর দাললদের আড্ডা হয়। দুর্নীতির আঁতুড়ঘর তৈরী হয়েছে। দলের অনুশাসনকে মান্যতা দেওয়া হয় না। তাই আজ বিক্ষোভ। আমাদের দাবি এই প্রধান উপপ্রধানকে ইস্থফা দিতে হবে।” প্রসঙ্গত, সোমবার নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়ন ও স্বচ্ছ পরিষেবাকে সামনে রেখে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তখন শিল্পাঞ্চলে দলেরই প্রধান উপপ্রধানদের স্বজন পোষনের ক্ষোভ উগরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল সদস্যরা। স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আশায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক শিবির। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে খান্দারা পঞ্চাায়েতের উপপ্রধান গনেশ বাদ্যকর৷ তিনি বলেন,” অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ব্যক্তিগত স্বার্থে বারবার পঞ্চায়েতে তালা দিয়ে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে। দলকে কালিমালিপ্ত করছে। গোটা বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হবে।”