নিজস্ব প্রতিনিধি, কদমতলা, ১৪ জুন: আসামের কাঁঠালতলিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৬ টি গবাদি পশু ভস্মীভূত। গুরতর আহত দুই।
প্রায় দশ বছরের মাথায় ফের একই কায়দায় এক বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে একই বাড়িতে পুড়ে ছাঁই হল ষোলটি গবাদি পশু। এতে গুরতর আহত হয়েছে আরও দুটি গরু। হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে পাথারকান্দির বাজারিছড়া থানাধীন বাঘন জিপির পাঁচ নং ওয়ার্ড এলাকার ইন্দুরআইলবস্তিতে।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার গভীররাতে স্থানীয় রামাধার কৈরীর গোয়াল ঘরে হঠাৎ করে অগ্নিকান্ড ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা মাটির দেওয়াল টিনের ছাউনির গোয়াল ঘরটি গ্রাস করে নেয়। এতে ঘরে বাঁধা থাকা অবস্থায় বিভিন্ন বয়সের ষোলটি গরু আগুনের করাল গ্রাসে ঘটনাস্থলে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। তখন রামাধারের দুই পুত্র সুজিত ও সুরজ এগিয়ে গিয়ে দুটি গরুকে অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন। এতে গুরতর আহত হন সুজিত।
এমন কান্ডের খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে কাঁঠালতলি পুলিশ তদন্তে নেমে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। উক্ত কান্ডে একাংশ জনগনের ধারনা যে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট জনিত কান্ডে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। তবে অন্যাংশের ধারনা কোনও দুষ্টচক্র প্রতিহিংসামুলক কারনে ঘরের দেওয়ালে পেট্রোল ছিটিয়ে এমন কান্ড ঘটিয়ে পুরো পরিবারকে নিশ্বেস করার মতলবে ছিল। ভাগ্যিস এতে কোন মানুষের প্রাণহানি ঘটেনি।
উল্লেখ্য যে বিগত দু হাজার পনেরো ইং সনেও উক্ত বাড়িতে অনুরুপ অগ্নিকান্ডে প্রায় কুড়িটি গরুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।এতে ধারনা করা হচ্ছে যে এমন কান্ডের নেপথ্যে কোনও দুষ্টচক্রের হাত রয়েছে।উক্ত কান্ডে কৃষি নির্ভর এই কৃষকদের প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির ধারনা করা হচ্ছে।এই কান্ডের সুষ্ট তদন্ত সহ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সরকারি সাহায্য পাইয়ে দিতে স্থানীয়রা সিও ডিসি সহ বিধায়কের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এদিকে স্থানীয় জনগনের কথায় উক্ত এলাকায় অগ্নি নির্বাপক গাড়ি চলাচলের মত সড়ক না থাকায় দমকল বাহিনী যথাসময়ে অকুস্থলে পৌছাতে পারেনি বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেঁড়েছে।