আগরতলা, ১ জুন: সারা দেশের সঙ্গে আগামী ৪ জুন, ২০২৪ ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় ক্ষেত্র ও ২-ত্রিপুরা পূর্ব (এসটি) সংসদীয় ক্ষেত্রের ভোট গণনা হবে। ভোট গণনা প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার লক্ষ্যে আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক পুনিত আগরওয়ালের সভাপতিত্বে এক সর্বদলীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই সর্বদলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক উষাজেন মগ, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ।
সভায় মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক পুনিত আগরওয়াল বলেন, আগামী ৪ জুন, ২০২৪ তারিখে রাজ্যের দু’টি সংসদীয় ক্ষেত্রের ভোট গণনা এবং ৭-রামনগর বিধানসভা ক্ষেত্রের উপনির্বাচনের ভোট গণনা সম্পন্ন করা হবে। রাজ্যের মোট ২০টি ভোট গণনা স্থানে সকাল ৮টা থেকে ভোটগণনা প্রক্রিয়া শুরু হবে। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানান, রাজ্যের প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। ৬০টি বিধানসভা ক্ষেত্রের অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসারের তত্বাবধানে গণনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। রাজ্যের ২০টি গণনা স্থানের ৬০টি গণনাকেন্দ্রের প্রতিটিতে ৮-১৪টি গণনা টেবিলে ভোট গণনা করা হবে।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পুনিত আগরওয়াল জানান, ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় ক্ষেত্রে ইভিএমে ভোট পড়েছে ৮১.৪৮ শতাংশ এবং ২-ত্রিপুরা পূর্ব (এসটি) সংসদীয় ক্ষেত্রে ইভিএম-এ ভোট পড়েছে ৮০.৩৬ শতাংশ। ১-ত্রিপুরা পশ্চিম সংসদীয় ক্ষেত্রে গতকাল পর্যন্ত ২০,২৮৩টি, ২-ত্রিপুরা পূর্ব (এসটি) সংসদীয় ক্ষেত্রে ১৪,৩৬৪টি এবং ৭-রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ১১০১টি ব্যালটপেপার জমা পড়েছে। ত্রিপুরার দু’টি সংসদীয় ক্ষেত্রের রিটার্নিং অফিসারদের টেবিলে ব্যালটপেপারের ভোট গণনা করা হবে। ভোট গণনার দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত যে সকল ব্যালট পেপার রিটার্নিং অফিসারদের অফিসে পৌছাবে সেই ব্যালটগুলিও গণনা করা হবে। প্রতিটি বিধানসভা ক্ষেত্রের এআরও’র টেবিলে পাঁচটি করে ভিভিপ্যাট গণনা করা হবে। সুষ্ঠুভাবে গণনা পর্যবেক্ষণের জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন থেকে ৩১ জন কাউন্টিং অবজারভারকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
সর্বদলীয় সভায় মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক পুনিত আগরওয়াল বলেন, আজ সন্ধ্যা পাঁচটার মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাউন্টিং এজেন্টদের নামের তালিকা জমা দিতে হবে। গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য রাজনৈতিক দলের কাউন্টিং এজেন্টদের নির্বাচন দপ্তরের গাইডলাইন মেনে প্রবেশ করতে হবে। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। গণনা পরবর্তী সময়ে শান্তি বজায় রাখতে এবং নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল সকলকে মেনে নেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।