BRAKING NEWS

অসমের পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন লাগবে : ডিআরএম প্রেমরঞ্জন

– জাটিঙ্গা লামপুরে ধস-বিধ্বস্ত রেলওয়ে ট্র্যাকের নীচে মাটি পরীক্ষা করতে আসছেন এনআইডিএম-এর অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চন্দন ঘোষ

হাফলং (অসম)৮ মে (হি.স.) : পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। গত ২৬ এপ্রিল লামডিং-বদরপুর হিল সেকশনে হারাঙ্গাজাও ও জাটিঙ্গা লামপুর স্টেশনের মধ্যবর্তী ১১০/৭ কিলোমিটার অংশে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার জেরে পাহাড়ে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।

গত ১৫ দিন থেকে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলপথ মেরামতির কাজ চালিয়ে গেলেও কয়েকটি যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করে গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীবাহী ট্রেন চালাচ্ছে। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছেন কর্তপক্ষ। যার দরুন বরাক উপত্যকা সহ পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা, মণিপুর এবং মিজোরামে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের ডিআরএম প্রেমরঞ্জন কুমার। তিনি বলেন, আজ হারাঙ্গাজাও-জাটিঙ্গা লামপুর অংশ দিয়ে একটি চিনি বোঝাই মালবাহী ট্রেন পার হওয়ার পর ফের রেলওয়ে ট্র্যাক ডেবে যায়।

ডিআরএম বলেন, জাটিঙ্গা লামপুর অংশে মাটি অত্যন্ত দুর্বল ও মাটির বহন ক্ষমতা কম। বেশি ভারি ট্রেন যতায়াতে মাটির বহন ক্ষমতা আরও কমে গিয়ে লাইনের নীচে মাটি ডেবে যায়। তাই এখন পণ্যবাহী ট্রেন ধীরে ধীরে চালানো হতে পারে বলে জানিয়ে ডিআরএম বলেন, পণ্যবাহী ট্রেন না চালালেও কেবলমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে।

তিনি বলেন, রেল লাইন মেরামতি করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কেননা ধস-বিধ্বস্ত ওই এলাকায় গাড়ির রাস্তা নেই। তাই কাজের জন্য সামগ্রী আনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী পাথর বোল্ডার আনতে এই রেলপথই একমাত্র নির্ভরশীল। ডিআরএম প্রেমরঞ্জন কুমার বলেন, ইতিমধ্যে ওই অংশের মাটির স্ট্যাটাস ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়েছে। বলেন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট (এনআইডিএম)-এর অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক চন্দন ঘোষ দুদিনের মধ্যে জাটিঙ্গা লামপুর আসছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *