আগরতলা, ২৭ এপ্রিল: পারিবারিক ও সম্পত্তির সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ভগ্নিপতি থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গতকাল রাতে উদয়পুরের কিল্লা থানার কাইপেঙবুলাই এলাকায় অনিল কুমার জমাতিয়ার স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে তার ভাই পদ্ম কুমার জমাতিয়াকে ফোন করে তাদের বাড়িতে আনে। ঘটনার সময় মহিলা ঘরের ভিতরে রান্না করছিল। অপরদিকে অনিল কুমার জমাতিয়া উঠোনে বসে রয়েছিল। আচমকা শ্যালক পদ্মা কুমার জমাতিয়া তার সাত আট জন সহযোগীকে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে অনিল কুমার জমাতিয়াকে বেধড়ক মারধর করে। চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে আসলে অভিযুক্তরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আহত অনিল কুমার জমাতিয়াকে কিল্লা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে গোমতী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু তার স্ত্রী তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। সেখান থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। রাতেই বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় অনিল কুমার জমাতিয়ার মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে সেখান থেকে মৃত উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।
পুলিশ এ ব্যাপারে হত্যা সংক্রান্ত একটি সুনির্দিষ্ট মামলা গ্রহণ করে। এদিকে পরিস্থিতি ব্যাগতিক দেখে অভিযুক্ত শ্যালক পদ্ম কুমার জমাতিয়া থানায় আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
ReplyReply to allForwardAdd reaction |