BRAKING NEWS

মুহুরী অমিত আচার্য্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আরো ২

আগরতলা, ২৫ এপ্রিল : পশ্চিম জেলা আদালতের মুহুরী অমিত আচার্য হত্যা মামলায় আরো দুজনকে গ্ৰেপ্তার করল পশ্চিম থানার পুলিশ।আইনজীবী দিগবিজয় মোদক ও শিবদুত বিরোয়া ক্লার্ক কে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন সকালে উজান অভয়নগর ও ইন্দ্রনগর মুসলিম পাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এপর্যন্ত এই মামলায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গত ৩ এপ্রিল আইনজীবী রাজেশ সরকার ও মুহুরী রাজীব দেবকে গ্ৰেপ্তার করে পশ্চিম থানার পুলিশ। গত ৫ সেপ্টেম্বর আগরতলা পশ্চিম জেলা ও দায়রা জজের আদালত চত্তরে অমিত আচার্য নামে এক মুহুরীকে বেশ কয়েকজন আইনজীবি এবং ক্লার্ক মিলে মারধর করেছিল। এই ঘটনায় গুরুতর আহত অমিত আচার্যের গত ২৩ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় কলকাতায়।
ঘটনায় মৃত অমিত আচার্যের পরিবারের অভিযোগ মূলে পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

পশ্চিম থানায় রুজু হওয়া মামলা নম্বর ১৭২/২০২৩ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় আইনজীবি রাজেশ সরকার, গোপাল সিং, অনির্বান তলাপাত্র এবং আইনজীবিদের ক্লার্ক শিবদূত বড়ুয়া, সুদীপ দেব ও রাজীব দেবের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। এই মামলায় পুলিশ গত ১২ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে গোপাল সিং নামের এক আইনজীবিকে বড়দোয়ালি থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর অনির্বান তলাপাত্র নামে আরেক আইনজীবী কে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ এই ঘটনায় বাকী অভিযুক্তদের খোজ জারী রেখে চলিছিলো। পুলিশের একটি দল চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের এই ঘটনায় তল্লাসি অভিযানে কোলকাতা পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছে বলেও খবর। এবার পুলিশের হাতে আরো দুই অভিযুক্ত ধরা পরে বুধবার। তারা ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো।

পশ্চিম থানার ওসি পরিতোষ দাস জানিয়েছেন, মামলার তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত দাস বুধবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করে। আজই তাদের তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করে। পশ্চিম থানার ওসি আরও জানান, কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়, যারা এই খুনের ঘটনায় যুক্ত তাদের প্রত্যেককেই শাস্তি পেতে হবে। পুলিশ কাউকেই ছেড়ে কথা বলবে না। আইনজীবী গোপাল সিং দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। অবশেষে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত গোপাল সিং কে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ। এরপর আইনজীবী অনির্বান তলাপাত্র, পরে রাজেশ সরকার ও মহুরী রাজীব দেব। একে একে সকলেই ধরা পড়বে। এদিকে বুধবার ধৃতদের আদালতে তুললে তাদেরকে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

এদিকে মৃত অমিত আচার্যের মা সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে মুহুরী অমিত আচার্য জেলা আদালতের ৪ নম্বর ফ্লোরের বাইরে স্টিল চেয়ারে বসা ছিল। ঠিক তখন আইনজীবী রাজেশ সরকার অমিতের সাথে জিআরপিএস এর একটি মামলা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, তখন আইনজীবী গোপাল সিং, রাজেশ সরকার, অনির্বাণ তলাপাত্র , মুহুরী শীবদূত বড়ুয়ারা মহুরী অমিত আচার্য্যেকে কিল ঘুসি-লাথি মারতে শুরু করে। জেলা আদালতের চতুর্থ তলার বিল্ডিং এর সিসি টিভি ফুটেজে সম্পূর্ণ ঘটনা রেকর্ডিং হয় বলে দাবী অমিত আচার্যের স্ত্রী সঞ্চিতা সাহা আচার্যীর।

তাছাড়া উনার তাঁর অভিযোগ, জেলা আদালতের চতুর্থ ফ্লোরে অমিতকে মারধরের পর লিফটের দরজা বন্ধ করে আইনজীবী রাজেশ সরকার, গোপাল সিং, বিভাস দেববর্মা, পুনরায় মারধর করে তাকে। সঞ্চিতা দেবীর অভিযোগ অমিত কে এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি লাথির পর ত্রিপুরা বার এসোসিয়েশনে নেওয়া হয় সেখানেও তাকে মারধর করা হয়। বার এসোসিয়েশন থেকে পুলিশ কোর্টের পুলিশরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *