BRAKING NEWS

ডিমা হাসাওয়ে চার শিশুর মৃত্যু এবং ৫০-এর বেশি আক্রান্তরা হামের শিকার না-অন্য কিছু, তা তদন্ত করছে স্বাস্থ্য দফতর

হাফলং (অসম), ১১ এপ্রিল (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলার মাইবাং মহকুমার অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রাম সেমখরে হাম (মিজিলস)-এর ব্যাপক প্রাদুর্ভাবে চার শিশুর মৃত্যু এবং ৫০-এর বেশি শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মাইবাং প্রাইমারি হেল্থ সেন্টার ও হাফলং সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে এক খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, সেমখরে শিশুদের মধ্যে মিজিলস মহামারির আকার ধারণ করেছে তা মিজিলস না-অন্য কিছু তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

তবে সেমখর গ্রামে শিশুদের মধ্যে জ্বর সর্দি কাশি বমি ডায়ারিয়ার সঙ্গে শরীরে যে ফোঁসকা বেরিয়েছে, সেজন্য চিকিৎসকের দল সেমখরে গিয় এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন। তাছাড়া চার শিশুর ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে একটি তদন্তকারী দল পাঠানো হয়েছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগের কারণ খতিয়ে দেখছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইতিমধ্যে সেমখর গ্রামে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা এবং সমগ্র বিষয়টি নজরদারি রেখে চলছেন। প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতিমধ্যে মাইবাং প্রাইমারি হেল্থ সেন্টার ও হাফলং সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত বেশ কয়েকটি শিশু সুস্থ হয়ে উঠছে। অসুস্থ শিশুদের মুখের লালা ও রক্তের নমুনা ডব্লিউএইচও (হু) এবং শিলচরের এনপএসপিতে পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত দশদিন থেকে ডিমা হাসাও জেলার প্রত্যন্ত সেমখর গ্রামে এক বছর থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে হামের উপসর্গ জ্বর সর্দি কাশি বমি ও ডায়ারিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *