আগরতলা, ২৯ মার্চ: কমিউনিস্টরা ভারতীয় রীতিনীতি কিছুই জানে না। কারণ, তারা চীন ও রাশিয়া থেকে ত্রিপুরায় এসেছে। আজ মোহনপুরের সিমনায় জনসমাবেশের সিপিএমকে তীর্যক ভাষায় বিঁধলেন পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব।
এদিন তিনি পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মাকে দিদি বলে সম্বোধন করেছেন। এদিন তিনি বলেন ভারতীয় রীতিনীতি অনুযায়ী মেয়েরা বিয়ে পর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আমার বোন কৃতি সিং ত্রিপুরায় বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। কিন্তু কমিউনিস্টরা কখনো ভারতীয় রীতিনীতি জানে না। কারণ তারা চীন ও রাশিয়া থেকে ত্রিপুরায় এসেছে।
এদিন তিনি আরও বলেন, এতবছর দেশের নরেন্দ্র মোদীর ছিল না বলে ত্রিপুরায় ২৫ বছর রাজত্ব করেছে সিপিএম। তা না হলে তাদের কবেই জামান জব্দ হত। ২০ বছর ত্রিপুরা শাসন করেও রাজ্যের জনজাতিদের জন্য কিছুই করেনি। জনজাতিদের বোকা বানিয়ে রেখেছিল। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ মানিক সাহা জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তাঁর কটাক্ষ, ত্রিপুরার ৪ বারের মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার কমিউনিস্ট করে এসেছেন। যাঁরা সারা জীবন ধরে কাস্তি হাতুড়িতে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা কিভাবে এখন হাত চিহ্নে ভোট দেবেন। তাদের এর চেয়ে দুর্দিন আর কি হতে পারে।
এদিন তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস মানিক সরকার হাত চিহ্নে ভোট দিতে যাবেন না। যদি হাত চিহ্নে ভোট দিতে যান তাহলে ত্রিপুরাবাসীর কাছে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে তাঁকে। তাঁর কথায়, কংগ্রেসরা রাজনীতির স্বার্থসিদ্ধির জন্য এনএলএফটি বানিয়েছে আর কমিউনিস্টরা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য
এটিটিঅফ বানিয়েছে।
তাঁর দাবি, ত্রিপুরাতে কংগ্রেস ও সিপিমের কারণের বহু মানুষ খুন হয়েছে। জোট আমলে বহু সিপিমের কর্মী খুন হয়েছে তেমনি সিপিমের আমলে বহু কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছে। আজ ত্রিপুরায় সেই কংগ্রেসও সিপিএমের মিতালি হয়েছে।