নয়াদিল্লি, ২৮ মার্চ (হি. স.): দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর সেই ইস্যুতে মুখ খুলেছিল আমেরিকা। এরপরই বুধবার দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিক গ্লরিয়া বার্বেনাকে তলব করে পাঠানো হয়েছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে। সেই তলবের পর ফের একবার মুখ খুলল ওয়াশিংটন। কেজরিকাণ্ডে গতকাল ম্যাথিউ মিলার ফের একবার বললেন, ‘এই গোটা ইস্যুর ওপর নজর রেখে চলেছে আমেরিকা।’ এদিকে তিনি এও বুঝিয়ে দেন,দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন ডেপুটি রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টিও তাদের নজরে আছে।
তবে দিল্লিতে মার্কিন ডেপুটি রাষ্ট্রদূতকে কী বলা হয়েছে, এই প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট জবাব ম্যাথিউ মিলার দেননি। তিনি বলেন, ‘কূটনীতিকদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জনসমক্ষে বলব না। তবে সুষ্ঠ, অবাধ এবং স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার পক্ষেই আমেরিকা। আমার মনে হয়, কেউই সেই বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করবে না। আমরা ব্যক্তিগত ভাবে আলোচনা করার সময়ও এই একই কথা তুলে ধরব।’
এদিকে শুধু কেজরির গ্রেফতারি নয়, কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হওয়ার বিষয়েও গতকাল মুখ খোলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এই বিষয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে আয়কর দফতরের তরফ থেকে তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এর জেরে তাদের নির্বাচনে লড়াই করা কঠিন হয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত। আমরা এই প্রতিটি ক্ষেত্রেই চাইছি যাতে সুষ্ঠ, অবাধ এবং স্বচ্ছ ভাবে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক।’
উল্লেখ্য, কেজরিওয়াল ইস্যুতে জার্মানিই প্রথম দেশ যারা বিবৃতি দেয়। বার্লিনে দেশটির বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতি দিয়ে বলে, আমরা মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিচারের ক্ষেত্রে এই দুটি বিষয়ে ভারত যত্নবান হবে, এটাই প্রত্যাশিত। এরপর আমেরিকাও হাঁটলো একই পথে।