নদিয়া, ২৩ মার্চ (হি.স.) : এবার কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রের দফতরে হানা দিল সিবিআই। স্থানীয় সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগরের সিদ্ধেশ্বরীতলায় যেখানে মহুয়ার সাংসদ কার্যালয় রয়েছে, সেখানে গিয়েছেন সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল। বাড়ি ঘিরে রাখেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১০ জন জওয়ান। তল্লাশি চলছে গোটা বাড়িতে।
সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় সিদ্ধেশ্বরীতলার এই বাড়ি থেকে প্রচার সংক্রান্ত সমস্ত কাজ করেছিলেন মহুয়া। শনিবার সেই বাড়িতেই হানা দেয় সিবিআই। তবে এই বাড়িতে মহুয়া খুব একটা থাকেন না বলে জানা গিয়েছে। অধিকাংশ সময় তিনি থাকেন করিমপুরের বাড়িতে।
কৃষ্ণনগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে জনি মোদক নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া নিয়ে সাংসদ কার্যালয় তৈরি করেন মহুয়া। সাংসদ হওয়ার পর সেখান থেকেই প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করতেন। শনিবার সিবিআই আধিকারিকেরা যখন ওই বাড়িতে যান, তখন বাড়ির মালিক জনিই দরজা খুলে দেন।
কৃষ্ণনগরে মহুয়ার সাংসদ কার্যালয়ে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সৌগতকৃষ্ণ দেব বলেন, “ভোটের আগে বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্যই বিজেপি এ সব করাচ্ছে। কিন্তু এই সব করে মহুয়া মৈত্রকে রোখা যাবে না।”
স্থানীয় সূত্রে যায়, শনিবার সকালেই সিবিআইয়ের একটি দল আলিপুরে ‘রত্নাবলী’ নামের একটি আবাসনে গিয়েছেন। আরও জানা যাচ্ছে, সেখানে ন’তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মহুয়ার বাবা দীপেন্দ্রলাল মৈত্র।
‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’কাণ্ডে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে গত ১৯ মার্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন লোকপাল। বরখাস্ত হওয়া তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ‘গুরুতর’ বলে বর্ণনা করা হয় লোকপালের নির্দেশিকায়। এর পর সিবিআইয়ের তরফে মহুয়ার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়।