BRAKING NEWS

ধুবড়িতে মহিলা খুনের দায়ে অর্থ জরিমানা সহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পুলিশ কনস্টেবলের

ধুবড়ি (অসম), ১৬ মাৰ্চ (হি.স.) : ধুবড়িতে মহিলা খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন অসম পুলিশের জনৈক কনস্টেবল। সাজাপ্রাপ্তের নাম মুকুটচন্দ্র রায়।

ধুবড়ির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জনৈক গৃহবধূকে খুনের দায়ে পুলিশ কনস্টেবল মুকুটচন্দ্র রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিযেছেন। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মুকুটচন্দ্র রায়কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হলে তাকে অতিরিক্ত ছয় মাসের সাধারণ কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলেও রায় দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ।

আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর দীনেশ চৌধুরী জানান, ঘটনা ২০১২ সালের। নিহত মহিলার স্বামী সুকুলচন্দ্র দেবশর্মা গোলকগঞ্জ থানায় একটি এফআইআর দাখিল করে বলেছিলেন, ঘটনার দিন তাঁর স্ত্রী কণিকা দেবশর্মা বাড়িতে একা ছিলেন। সেই সুযোগে অভিযুক্ত মুকুটচন্দ্র রায় তার বাড়িতে প্রবেশ করে কণিকার সঙ্গে যৌন আচরণে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করে। তখন নির্যাতিতা কণিকা দেবী চিৎকার করতে শুরু করলে অভিযুক্ত মুকুট রায় তাকে গালিগালাজ করে তাঁর ঘাড় ও গলা চেপে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করে।

জঘন্য গোটা ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী তাঁদের চার বছরের মেয়ে, বলেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর দীনেশ চৌধুরী।

তিনি জানান, ঘটনার পর নিহতের স্বামী সুকুলচন্দ্র দেবশর্মা গোলকগঞ্জ থানায় মুকুটচন্দ্র রায়কে অভিযুক্ত করে যে এফআইআর দায়ের করেন তার ভিত্তিতে ৬০৬/২০১২ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর জানান, তদন্ত শেষে কেস ডায়েরির উপাদানের উপর ভিত্তি করে মামলাটি অতিরিক্ত ও দায়রা জজ সৈয়দ বুরহানুর রহমানের আদালতে পেশ করা হয়। সে অনুযায়ী ৩৫৭/২০১৩ নম্বরে মামলা নিয়ে শুনানি পর্ব চলে। বেশ কয়েকবার শুনানি শেষে শুক্রবার অভিযুক্ত মুকুটচন্দ্র রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেন। এই মামলায় ষোলোজনের সাক্ষবাক্য গ্রহণ করেন বিচারক।

আইনজীবী জানান, আদালতের রায়ে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত যে অপরাধ করেছেন তা গুরুতর। অভিযুক্ত ভুক্তভোগীকে প্রচণ্ড শারীরিক যন্ত্রণা দিয়ে জঘন্য, অমানবিক ও বর্বরোচিত কাজ করেছেন। কণ্ঠ চেপে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করেছে। সে জন্য তাকেও (সাজাপ্রাপ্ত) কারাগারে যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে।

এদিকে এক দশকের অপেক্ষান্তে শুক্রবার শেষ বিকেলে প্রদত্ত রায়ে খুনের শিকার পরিবার স্বস্তি ও সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *