BRAKING NEWS

গ্রেফতার আরাবুল ইসলাম

দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): গ্রেফতার হলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর। আবার অন্য একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, খুনের অভিযোগে ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরাবুলকে। সূত্রের খবর, লালবাজারে আনা হচ্ছে আরাবুলকে। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় উত্তর কাশীপুর থানায় তাঁকে ডাকা হয়।

আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে আসেন ওই থানায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের সময় ঝামেলা হয়। সেই মামলায় এদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় তাঁকে। একইসঙ্গে আইএসএফ কর্মী খুনের ঘটনাতেও আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগে মইনুদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ নেতাকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় তৃণমূল নেতা আরাবুলদের নামে। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সম্প্রতি তাঁর ছেলেকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। এমনই অভিযোগ করে নিরাপত্তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন আরাবুল ইসলাম। শাসকদলের এই বিতর্কিত নেতার আতঙ্কের কথায় অবশ্য পাত্তা দিতে নারাজ নওশাদ সিদ্দিকির দল। আইএসএফ একে আরাবুলের প্রচার পাওয়ার কৌশল বলেই মনে করে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের ঝড়ের সামনে তৃণমূলের যে ৩০ জন বিধায়ক জয়ী হয়েছিলেন, তাঁদের এক জন ছিলেন আরাবুল। সেই সময় সিপিএমের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিতে দেখা যেত তাঁকে। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর ভাঙড় কলেজের এক অধ্যাপিকাকে জলের জগ ছুড়ে মেরে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তার পরেও ভাঙড়ের রাজনীতি তো বটেই, রাজ্য-রাজনীতিও তাঁর দাপট দেখেছে। এই আরাবুলকে এক সময় মদন মিত্র (কামারহাটির বিধায়ক) ‘তাজা নেতা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ২০১৫ সালে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল থেকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল আরাবুলকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *