কোচবিহার, ২৯ জানুয়ারি (হি.স.): সোমবার কোচবিহারের প্রশাসনিক সভা থেকে রাজবংশী ভাষার ২১০টি স্কুলের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে সিংহভাগ স্কুলই রয়েছে কোচবিহার জেলায়।
দীর্ঘদিন ধরে রাজবংশী সম্প্রদায়ের তরফে এই দাবি ছিল। তা পূরণ হওয়ায় এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান রাজবংশী সম্প্রদায়ের তরফে বংশীবদন বর্মন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি একটা বড় কাজ করলাম। অনেকগুলো ছোট ছোট রাজবংশী স্কুল ছিল। সেগুলো সরকারি কোনও সুবিধা পেত না। ২১০টি স্কুলকে রাজ্য সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে গেলাম। অর্থাৎ এবার থেকে রাজবংশী স্কুলের শিক্ষকরা সরকারি স্কুলের মতো বেতন পাবেন। পড়ুয়ারাও সব ধরনের সুবিধা পাবেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় রীতিমতো হুল্লোর শুরু হয় যায় সভাস্থলে।
পাঁচ দিনের সফরে রবিবার সন্ধেয় কোচবিহারের সার্কিট হাউসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার কোচবিহারে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে প্রশাসনিক তৎপরতা ছিল তুঙ্গে।
রবিবার হাসিমারা সেনা ছাউনিতে নামার পর চিলাপাতা-সোনাপুর হয়ে কোচবিহারে প্রবেশ করে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। তাঁকে এক ঝলক দেখতে রাস্তার দুধারে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গাড়ির গতি কমিয়ে হাত নেড়ে বাসিন্দাদের অভিবাদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের উন্নয় নিয়ে রবিবার রাতেই কোচবিহার সার্কিট হাউসে একদফা বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ জেলার নেতারা।
নবান্ন সূত্রের খবর, সোমবার কোচবিহারের সফর শেষে মঙ্গলবার রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। বুধবার মালদহ, মুর্শিদাবাদের কর্মসূচি সেরে কৃষ্ণনগর হয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরবেন তিনি।

