ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ জানুয়ারি।। লীগের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত জয় ক্রিকেট অনুরাগীর। এই জয়ের সুবাদে একেবারে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের স্বীকৃতি পেয়ে সুপার ফোরে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে অনুরাগী। পয়েন্ট তালিকায় পয়েন্টের নিরিখে সমপর্যায়ে হলেও রান রেটের নিরিখে ক্রিকেট অনুরাগী পেয়েছে গ্রুপ শীর্ষের পজিশন। লীগের শেষ ম্যাচেও হারই সঙ্গী রইলো জুয়েলস কোচিং সেন্টারের। ক্রিকেট অনুরাগীর সংঘবধ্য পারফরম্যান্সের দৌলতে ৬০ রানের ব্যবধানে পরাজয় হজম করলো জুয়েলস শিবির। নেপকো মাঠে বৃহস্পতিবার ঘটে এই ঘটনা। টস জিতে ক্রিকেট অনুরাগী দল প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। যদি ও শুরুটা নড়বড়ে হয় দলের। ওপেনিংয়ে নামা দুই ব্যাটসম্যান অভিরূপ দাস ১৬ ও বিনীত দাস ৬ রান করেই আউট হয়ে যায়। এই অবস্থায় ২২ গজে নেমে উইকেট আগলে দলের হাল ধরে অয়ন রায় ও আমন মিয়া। এই জুটিতে রানের অক্সিজেন পায় ক্রিকেট অনুরাগী দল। দুর্ভাগ্য অয়নের। ৪৯ রান করে আউট হয়ে যায়। অপরদিকে আমন ২১ রান করে। পরবর্তীতে সতদীপ ঘোষ ১৫, দিগ্বিজয় দেববর্মা ৪৬ রানে নট আউট থেকে ৪৫ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে স্কোর দাড় করায় ১৮৭ রানে। এতে অতিরিক্তের যোগ ১৭ রান। বল হাতে জুয়েলসের পক্ষে নিলেশ দাস তিনটি এবং দুটি করে উইকেট নেয় গৌরব রাজ সাহা ও রাজবীর দেবরা। জয়ের জন্য জুয়েলসের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ১৮৮ রানের। যাকে তাড়া করতে নেমে দল ৩৭.৪ ওভারে সব উইকেটের বিনিময়ে ১২৭ রানই করতে সক্ষম হয়। ব্যাটে জুয়েলসের পক্ষে আয়ুশ দত্ত দুর্দান্ত মেজাজে ৫২ রান করে।এছাড়া গৌরব রাজ সাহা ৩৭, নিলেশ দাস ১৩ রান করে। আর কেউই দু অংকের রান করতে পারেনি। সুবাদে পরাজয় দিয়েই আসরকে বিদায় জানাতে হলো এবার ও জুয়েলস কোচিং সেন্টারকে। বিজয়ী দলের হয়ে বল হাতে শাহীন জামান চৌধুরী তিনটি এবং দুটি করে উইকেট দখল করে অয়ন রায় ও আয়ুষ্মান সেনরা।