নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জানুয়ারি : রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো বোমা পাঠালেন টিআরপিসির চেয়ারম্যান পাতাল কন্যা জমাতিয়া। তিনি বলেন রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় টাকা পয়সার জোগান না দেওয়ায় সময় মত কর্মচারীদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছে। আর্থিক সংকটে রয়েছে টি.আর.পি.সি, এমনই দাবি পাতাল কন্যার।
বাজেটের অর্থ দিয়ে বারোমাস বেতন প্রদান করা যাচ্ছে না। মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মাস বেতন প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। সরকারের কাছে সহযোগিতার দাবি করলেও মিলছে না কোন সাড়া। আগামী মাস থেকে ভরসা বেনিফিসারি, বেনিফিসারি পেলে কর্মচারীদের বেতন মিলবে বলে জানান চেয়ারম্যান পাতাল কন্যা।
তিনি এদিন টিআরপিসি -র নিজ কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জানান বছরে বাজেট অনুযায়ী যে অর্থ রাজ্য সরকার টি আর পি সি -কে প্রদান করছে সেই টাকা দিয়ে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মাস বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। যার ফলে ডিসেম্বর মাসের বেতন জানুয়ারি মাসে দিতে পারেনি টিআরপিসি। প্রতিমাসে কর্মচারীদের বেতন দিতে প্রয়োজন হয় ৩৬ লক্ষ টাকা। বাজেটের টাকা থেকে ১২ মাস বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এমডি এবং সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে জানুয়ারি মাস থেকে আগে বেনিফিশিয়ারিদের সঠিক সময়ের মতো সুবিধা দিতে হবে। তারপর রাবার সিটের প্রোডাক্ট তারা বিক্রি করে যে আয় হবে সে আয় থেকে কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হবে। কিন্তু বেনিফিসারিদের বঞ্চিত করে কোনভাবেই কর্মচারীদের আগে বেতন দেওয়া হবে না।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন টিআরপিসি যে কর্মচারীদের সংগঠন রয়েছে সে সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ চৌধুরী সম্প্রতি আন্দোলন করে বলেছেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি নাকি তাদের বেতনের জন্য জোরদার আন্দোলন করতে বলেছেন। এর জন্য ওনার শাস্তি দাবি তুলেন পাতাল কন্যা। এবং টিআরপিসি -তে কেন এত ঘাটতি রয়েছে সেটা তদন্তের জন্য ফরেন্সিক অডিট চাইলেন পাতাল কন্যা। এবং যে ঘাটতি রয়েছে এর সহযোগীতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় এবং জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হলেও কোন সাড়া। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এভাবে প্রকাশ্যে মুখ খোলার বিষয় নিয়ে নানা মহলে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।