নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জানুয়ারি : রাজ্যে জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ চালু হলেও সেই মোতাবেক পাঠ্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। শুধু তাই নয়, অনেক কলেজ ও বিদ্যালয় শিক্ষক স্বল্পতার কারণে ধুঁকছে। এই সমস্ত গুরুতর অভিযোগ এনে তার প্রতিকারের দাবিতে অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটি আজ উচ্চ শিক্ষা অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন দিয়েছে।
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অসিত দাস বলেন, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি -২০২০ চালু করতে গিয়ে বেশ কিছু অসঙ্গতি সৃষ্টি হয়েছে। তাতে রাজ্যের কলেজগুলিতে পাঠরত হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী দিশাহীন হয়ে পরেছে। তিন বছর ডিগ্রী কোর্সের পরিবর্তে চার বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু করেছে।
কিন্তু পরিকল্পিত ও সুসংহতভাবে সেমিস্টার ভিত্তিক সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়নি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিটি সেমিস্টারের সিলেবাসের পঠনপাঠন সমাপ্ত করা হচ্ছে না এবং তার জন্য প্রতিটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্থায়ী অধ্যাপক কোন কলেজেই নেই। রাজ্যের কলেজগুলিতে মূলত অতিথি অধ্যাপকদের মাধ্যমে পঠনপাঠন পরিচালনা করার চেষ্টা চলছে। কলেজগুলিতে প্রতিটি বিষয়ে প্রতিদিন ক্লাসও হচ্ছে না। কলেজগুলিতে বিষয়ভিত্তিক স্থায়ী অধ্যাপক নিয়োগের কোন পরিকল্পনাও পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
তাছাড়া কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরণের ফি এমনভাবে বৃদ্ধি করেছে যা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট বোঝা স্বরূপ। ফলে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাছাড়া এম বি বি ইউনিভার্সিটিতে বাংলা সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ের এখন পর্যন্ত কোন শাখা খোলা হয়নি।
রাজ্যের ছয়টি ডিগ্রি কলেজে মাস্টার ডিগ্রি কোর্স চালু করা হয়েছিল, অধ্যাপক ও পরিকাঠামোর অভাবে তা বন্ধ হবার পথে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষার এহেন পরিস্থিতির জন্য অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটির ত্রিপুরা শাখার পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবিতে রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তার নিকট এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্বারকলিপি প্রদানের পূর্বে শিক্ষা ভবনের সামনে দাবিগুলির সমর্থনে এক বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অসিত দাস। তিনি এই দাবিগুলির সমর্থনে এবং ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক সহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।