নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ৮ জানুয়ারি : রাজ্যের কারাগারগুলো নানা পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে। এ ব্যাপারে দপ্তর কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন জনগন।
উত্তর জেলার সদর জেলা কারাগারে কোনো ধরনের গাড়ির ব্যবস্থা নেই। তাই হঠাৎ করে কারাগারে বন্দি আসামীরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে রিক্সাই একমাত্র ভরসা। রবিবার রাতে ধর্মনগরের উত্তর জেলা কারাগার থেকে বন্দী কয়েদি ফারুক মিয়া (২১), বাড়ি দক্ষিণ কদমতলা, সে হঠাৎ করে মাথা ঘুরিয়ে জলের মধ্যে পড়ে গিয়ে বুকে ব্যথা পায়।
জরুরীকালীন ভিত্তিতে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কারারক্ষীরা ই-রিক্সা করে তাকে রাতেই উত্তর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে সাথে সাথে রাতেই জেলা কারাগারে নিয়ে যায়। কিন্তু যেভাবে ফারুক মিয়াকে নিয়ে আসা হয়েছে তা যে কোন সময় সে ইচ্ছে করলেই কারারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যেতে পারতো। একপ্রকার আইনী নির্দেশ অমান্য করে এভাবেই চলছে কারাগারের কাজ।
এই বিষয়ে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সাধারন নাগরিকের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মনগর জেলা কারাগারে একটি গাড়ির ব্যবস্থা করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে। উল্লেখ্য সরকার বর্তমানে কারাগারকে নাম পরিবর্তন করে সংশোধনাগার করেছে। অথচ এসব সংশোধনাগার গুলি নানা পরিকাঠামোর অভাবে ভুগছে। কারা দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং দপ্তর কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।এমনটাই দাবি সাধারনের।