কালীঘাটে পকেটমারি রোধে সিসি ক্যামেরা বাড়ানোর অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীকে

কলকাতা, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.): গঙ্গাসাগর মেলায় ভারতের সব প্রান্ত থেকে তীর্থযাত্রীরা আসেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া হিসাব মোতাবেক প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল গত বছর। এবার ভিড় আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মেলার ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা করতে বুধবার নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই কালীঘাটে পকেটমারি নিয়ে অভিযোগ উঠে এল।

গঙ্গাসাগর মেলা কমিটির তরফে তারকনাথ দ্বিবেদী এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, গঙ্গাসাগর মেলা ছিল দুঃস্থ। তা সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা হয়েছে। তবে, গঙ্গাসাগরে স্নান করতে এসে ভিন রাজ্যের বহু মানুষ ফেরার সময়ে একবার কালীঘাট মন্দির বা দক্ষিণেশ্বর মন্দির দর্শন করতে যান। কিন্তু কালীঘাটে খুব পকেটমারি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

তারকনাথের কথায়, বাইরে থেকে যাঁরা গঙ্গাসাগরের মেলা দেখতে আসছেন তাঁরা সুখানুভূতি নিয়ে ফিরে যাবেন সেটাই কাম্য। এত সুন্দর ব্যবস্থা ও আয়োজনের পর যদি কারও পকেটমারি হয়ে যায় তা ভাল দেখায় না। মেলা কমিটি তাঁদের সাহায্য করে ঠিকই। কিন্তু সরকার যদি কালীঘাট মন্দির চত্বরে আরও সিসিটিভির ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে ভাল হয়।

তারকনাথ আরও একটি সমস্যার কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, আউট্রাম ঘাটে যে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড রয়েছে সেখানকার ট্যাক্সি চালকরা ইচ্ছেমতো টাকা দাবি করেন তীর্থযাত্রীদের থেকে। কেউ কালীঘাট বা দক্ষিণেশ্বরে যেতে চাইলে প্রচুর টাকা ভাড়া চান ট্যাক্সি চালকরা। তাই ওখান থেকে কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যদি শাটল বাস পরিষেবা চালু করা যায় তাহলে তীর্থযাত্রীদের উপকার হতে পারে।

গঙ্গাসাগর মেলার জন্য প্রস্তুতি এখন মধ্যগগণে। এবার শীত কম। তাই প্রশাসনের অনেকের ধারণা উত্তর ও পশ্চিম ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক পুন্যার্থী এবারের সাগর স্নানের জন্য আসতে পারেন। তবে একটা চিন্তা প্রশাসনকে ভাবাচ্ছে। তা হল, এবার আগের বছরের তুলনায় বেশি ভাঁটা থাকতে পারে পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে। ভাঁটা থাকলে লঞ্চ চলাচলে সমস্যা হতে পারে। তাই এদিনের বৈঠকে দ্রুত ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।