BRAKING NEWS

বিরোধী সাংসদদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে কমলপুরে  বিক্ষোভ বামেদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলপুর, ২২ ডিসেম্বর : বিরোধী দলগুলির দেশব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ধলাই জেলার কমলপুরে আজ প্রতিবাদ বিক্ষোভ আন্দোলন সংগঠিত করেছে বামেরা।  সংসদের অধিবেশন থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দল সমূহের সাংসদদের চরম অগণতান্ত্রিকভাবে নির্বিচারে বহিষ্কার করার প্রতিবাদে  বিরোধী রাজনৈতিক দলের মঞ্চ থেকে ২২শে ডিসেম্বর দেশব্যাপী প্রতিবাদ আন্দোলনের অঙ্গ হিসাবে কমলপুর মহকুমার শান্তিরবাজারে বামফ্রন্টের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও বাজার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিনের এই বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রেখেছেন সিপিআই(এম ) কমলপুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক অঞ্জন দাস ও সিপিআই নেতা রাশবিহারী ঘোষ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অঞ্জন দাস বলেন, গণতন্ত্রের মন্দিরে গণতন্ত্র রক্তাক্ত। দেশের সংসদীয় ইতিহাসে এইবার প্রথম সংসদের শীতকালীন চলতি অধিবেশনে দফায় দফায় বিরোধী দলের ১৪৬ জন সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মোদি-শাহর  স্বৈরতন্ত্রের এই বুলডোজারের আক্রমনের প্রধান লক্ষ্য ছিল অসংসদীয় আচরণের তকমা সেঁটে এক গুচ্ছ দানবীয় বিল পাশ করে নেওয়া। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই শাসক দলকে তিরস্কার করেছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর দর্শক আসন থেকে দুইজন লাফিয়ে সাংসদদের মধ্যে রঙ্গিন ধোঁয়া ছড়ানোর ঘটনা প্রমাণ করে সরকারের নিরাপত্তার চরম গাফিলতি। গণতন্ত্রে  বিরোধীদের কথা বলার নায্য অধিকার আছে। সংসদের ধোঁয়া দেওয়ার এই ঘটনার বিবৃতি দাবি করা কোনভাবেই সাংসদদের অন্যায় হতে পারে না।

বাম নেতা আরো বলেন, জনগণ সাংসদের আরাম আয়াশ করার জন্য বা মোদীর জয়ধ্বনি দেওয়ার জন্য  সংসদে পাঠায় নি। সংসদের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ  দায়িত্ব সরকারের। প্রশ্ন তোলা হয়েছে করোনা অতিমারীর কঠিন সময়ে  চিকিৎসা ও খাদ্যের জন্য যখন ব্যাপক মানুষ মৃত্যু হচ্ছিল তখন কোন  প্রয়োজনে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করা হল ? আসলে শাসক গোষ্ঠী কোন সমালোচনা বা বিরোধীতা সহ্য করতে পারে না। শাসকদল সংবিধান মানে না। এই ধরণের ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারীরা পৃথিবীর কোথাও বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। আমাদের দেশের মানুষ ও তার জন্য তৈরি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *