কল্যাণপুর, ৬ ডিসেম্বর : রহস্যজনক ভাবে খুন হলেন এক জনজাতি গৃহবধূ। কল্যাণপুরের হলংমুতাই এডিসি ভিলেজ এর হাজারীপাড়ায় ওই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছাড়িয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ওই গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা জানিয়েছেন, ল্যাণপুরের হলংমুতাই এডিসি ভিলেজ এর হাজারীপাড়ায় বাসিন্দা জেসমিন দেববর্মা (২৭)-এর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ বুধবার হাজারীপাড়া ওই গৃহবধূর বাড়ী থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ঘন জঙ্গলে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা। পারিবারিক ঝামেলার ফলে দুই পুত্র সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ কে খুন করে তারই স্বামী মিন্টু দেববর্মা বলে জানিয়েছেন তিনি ।
তিনি আরও জানিয়েছেন ,গত পরশুদিন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হয়। জেসমিন এর বাড়ী খোয়াই এর চাম্পাহাওর থানাধীন এলাকায়। স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার পর জেসমিন এর বাপের বাড়ির লোকজন এসে মিটমাট করে দেয় বলেও খবর। মঙ্গলবার সকালে স্বামী স্ত্রী মিলে যায় রাবার বাগানে। এরপর আবার ওই রাবার বাগান সংলগ্ন জঙ্গলে প্রচন্ড স্বামী স্ত্রীর প্রচন্ড ঝগড়া শুরু হয়েছিল। পুলিশের মতে সেই সময় ধারালো কিছু দিয়ে পর পর আঘাত করে খুন করা হয়েছে জেসমিন দেববর্মাকে। এরপর তার দেহ মাটি চাপা দিয়েছিল স্বামী। খবর পেয়ে এক্সেকিউটিভ মেজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে মাটির নিচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল ।
তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত নয় টা নাগাদই নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। কারণ মৃতা জেসমিন এর স্বামী খুন করার পর বাড়ী এসে দুই পুত্র সন্তানকে চাম্পাহাওর শশুরবাড়ীতে রেখে গা ঢাকা দিয়েছিল।
এদিকে কল্যাণপুর থানার ওসি তাপস মালাকার জানিয়েছেন, মৃতার কাকার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ফৌজদারি দন্ডবিধি ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে। বর্তমানে মৃতার স্বামী মিন্টু দেববর্মা পলাতক। তাঁর খোঁজে জোরদার তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ।