বাঁকুড়া, ১৭ নভেম্বর (হি. স.) : অবিলম্বে রেলে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবীতে সিআইটিইউর পক্ষ থেকে বাঁকুড়া রেল স্টেশনে বিক্ষোভ ও অবস্থানের কর্মসূচীর পাশাপাশি স্টেশন ম্যানেজারদের মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
রেলের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত বাতিল, রেল যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত, রেলের ৫লক্ষ ৭৫হাজার শূন্যপদ অবিলম্বে পূরণ করতে
লকডাউনের সময় কোভিডের দোহাই দিয়ে রাজ্য-রাণী এক্সপ্রেস-সহ বিভিন্ন রুটে বন্ধ করে দেওয়া সমস্ত ট্রেন অবিলম্বে চালু করা।
লকডাউনের সময়ে প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির ওপর চাপিয় দেওয়া এক্সপেসের ভাড়া অবিলম্বে প্রত্যাহার।
লকডাউনের দোহাই দিয়ে প্রবীণ নাগরিকদের বন্ধ করে দেওয়া কনসেসন চালুর দাবী জানানো হয়।
এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে বক্তারা বলেন বিগত ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে রেল লাভ করেছে ২লক্ষ ৪০হাজার কোটি টাকা, যা ছিল বিগত আর্থিক বছরের তুলনায় ৪৯,০০০ কোটি টাকা বেশী – পণ্য পরিবহণেও এই সময়ে আয় বেড়েছে ১৫% অথচ দেশের ১৩০ কোটি মানুষের কথা না ভেবে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক গৌতম আদানী তথা অন্য কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে ছকড়া নকড়ায় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রাণভোমরা ভারতীয় রেলের তথা তার লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদকে বেসরকারীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই রেলেমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১০৯টি জোড়া রুটের ১৫১টি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন তুলে দেওয়া হবে ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থার হাতে। এর আগেই বিভিন্ন বিমান বন্দরের মতোই বেশ কিছু রেল স্টেশন, রেল রুট ও আইআরটিসি’র মাধ্যমে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থার একটা বড়ো অংশ তুলে দেওয়া হয়েছে গৌতম আদানির অধীনস্হ সংস্থার হাতে। কিন্ত রেলের ৫কোটি ৭৫হাজার শূণ্যপদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
আজকের এই বিক্ষোভ সভা, মিছিল ও ডেপুটেশনে নেতৃত্ব প্রদান করেন সিআইটিইউ নেতা প্রতীপ মুখার্জী, উজ্জ্বল সরকার, ভৃগুরাম কর্মকার, তপন দাস, দেবু রায়, মানিক গরাই, সোহরাব মন্ডল – বক্তব্য রাখেন প্রতীপ মুখার্জী, উজ্জ্বল সরকার ও দেবু রায়। – কর্মসূচীর সূচনাকালে সদ্য প্রয়াত জননেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ শ্রদ্ধেয় বাসুদেব আচারিয়ার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হয় এবং মালায় আচ্ছাদিত তাঁর প্রতিকৃতি সামনে নিয়েই প্রতিবাদীরা মিছিল ও বিক্ষোভের কর্মসূচীতে সামিল হন।-