সাহারানপুর, ২৬ অক্টোবর (হি.স.): ভারত সারা বিশ্বকে ধর্মের পথ দেখাচ্ছে। শ্রীমদ্ভাগবতে পূর্ণ জীবন আছে। কিভাবে জীবন যাপন করা যায়। আমাদের কী করা উচিত তা সবই বলা হয়েছে। সাধুদের নাম নিলেই মানুষের সৌভাগ্য বেড়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি সাধুদের সাথে বসে তাদের কথা শোনার সুযোগ পান, তাহলে বুঝবেন আপনার ভাগ্যদয় হতে বাধ্য। বৃহস্পতিবার সাহারানপুরে পৌঁছে আরএসএস প্রধান ডাঃ মোহন ভাগবত এই কথাগুলো বলেছেন। আরএসএস প্রধান সাহারানপুরের সরসাওয়ানে আয়োজিত শ্রী কৃষ্ণ মন্দিরের ভূমিপূজন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এখানে এসেছিলেন। এখানে পূজা শেষে তিনি কোদাল দিয়ে ভিত্তি খনন করে এই শুভ কাজের উদ্বোধন করেন।
এরপর সাধু সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ধর্ম সবাইকে সংযুক্ত করে। সকলের সুখ কামনা করে। সবার উন্নতি সাধন করে। এটাকেই ধর্ম বলে। এমন ধর্মই সনাতন, সেটাই শাশ্বত। সনাতন ধর্ম কেউ সৃষ্টি করেনি। সেটি সবসময় ছিল এবং থাকবে। যেদিন সনাতনের অবসান হবে, সেদিন এই পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে। ধর্মের সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ধর্মের চারটি দিক রয়েছে, সত্য, করুণা, পবিত্রতা এবং কপস অর্থাৎ কঠোর পরিশ্রম। তার দোরগোড়ায় হাঁটতে হবে, এর ভিতরে যে পা আছে সেটাই ধর্ম আর বাইরের ধাপগুলো অধর্ম।
তাই এই চারটি চিরন্তন ধর্ম। এর পরিবর্তন হবে না। আচরণ পরিবর্তন হবে কিন্তু আপনার আচরণ এই চারটি কাঠামোর মধ্যে থাকা উচিত। সাধুরা আপনাকে সময়ে সময়ে বলবেন যে, আপনার আচরণ এই কাঠামোর মধ্যে আছে কি না। তিনি আরও বলেন, জীবনে আসা পরিস্থিতি থেকে পালানো উচিত নয়। প্রতিযোগিতা করতে হবে। বেঁচে থাকা সত্ত্বেও পালিয়ে গেলে তা মৃত্যুর সমান। প্রকৃতির সাথে হাঁটুন। এটা ধর্মের প্রয়োজন। পৃথিবীতে খারাপ মানুষ আছে। তাদের ভয় পাবেন না। কারো সাথে আমাদের কোনও শত্রুতা নেই। সবাইকে সাথে নিয়ে যেতে হবে। ধর্ম নিয়ে চলতে হবে।
এই অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী কুনওয়ার ব্রিজেশ সিং, আন্তর্জাতিক জ্ঞান গুরু দীপঙ্কর মহারাজ, শকুম্ভরী পীঠধীশ্বর সহজানন্দ মহারাজ, কাইরানার সাংসদ প্রদীপ চৌধুরী, রামপুর মনিহরণের বিধায়ক দেবেন্দ্র নিম সহ বিপুল সংখ্যক সাধু ও জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।