কলকাতা, ১৯ অক্টোবর (হি.স.): পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষা পাকাপাকিভাবে ভাবে বিদায় নিয়েছে। তবুও, পুজোতেও পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি। নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুরের আবহাওয়া দফতর। নবমী থেকেই ভিজতে পারে কলকাতা-সহ উপকূলের জেলাগুলি, এমনটাই পূর্বাভাস। কলকাতা ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কোথাও কোথাও নবমীতে অতি সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি বেশি হবে দশমীর দিন। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এবং সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা ক্রমশই উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এর জেরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। ২০ অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন এই নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হতে পারে। এই নিম্নচাপ আরও গভীর হবে। তবে এর গতিবিধির ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। আবহবিদরা বলছেন, ওই নিম্নচাপ উত্তর তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। সেটি ক্রমশ দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে যাবে। এদিকে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এবং সংলগ্ন পশ্চিম উত্তর মুখে। মধ্য আরব সাগরে আগামী ২১ অক্টোবর এই গভীর নিম্নচাপ তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে সংলগ্ন এলাকাগুলিতে।
যদিও বাংলায় নিম্নচাপের কী প্রভাব পড়বে তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে বাংলার ততটা ভয় নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে। নবমী ও দশমীর দিন কলকাতা ও উপকূল সংলগ্ন কয়েকটি জেলায় আকাশ মেঘলা থাকবে। হালকা বৃষ্টিও হতে পারে। এদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে উত্তরবঙ্গে। আপাতত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জেলায়। পঞ্চমী থেকে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে পাহাড়ি জেলাগুলিতে।

