শহর দক্ষিণের একমাত্র গৌরবময় ক্লাব জয় অব্যাহত রেখে শীর্ষে ত্রিবেণী সংঘ

ত্রিবেণী সংঘ: ৩(চেনচিন ৩)

বীরেন্দ্র ক্লাব: ১(শান্তা জয়)

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ আগস্ট।। শহর দক্ষিণের একমাত্র ক্লাব বলে কথা। আলাদা একটা অনুভূতিও কাজ করছে মাঠে। চন্দ্র মেমোরিয়াল প্রথম ডিভিশন লীগ ফুটবলে খেলছে শহর দক্ষিণের একমাত্র ক্লাব ত্রিবেণী সংঘ। আর সেই ত্রিবেণী সংঘ জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচের শেষে আপাতত পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকার আনন্দটাই আলাদা। ফুটবল মাঠে কে যে কখন ডার্ক হর্স-এর স্বীকৃতি পায় তা বলা মুশকিল। তবে আজ, ত্রিবেনীর পক্ষে ১২ নম্বর জার্সিধারী চেনচিন মাওয়া-র অনবদ্য ফুটবল পারফরম্যান্স দর্শকাকীর্ণ উমাকান্ত স্টেডিয়ামে কিছুটা হলেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ত্রিপুরা ফুটবল এসোসিয়েশন আয়োজিত টেকনো ইন্ডিয়া চন্দ্র মেমোরিয়াল প্রথম ডিভিশন লীগ ফুটবল টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে ত্রিবেণী সংঘ তাদের দ্বিতীয় জন ছিনিয়ে একদিকে যেমন টানা জয় ধরে রেখেছে, অপরদিকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে। প্রথমার্ধে দু-দলের লড়াই এবং আক্রমণ প্রতি আক্রমণের মধ্য দিয়ে কোনও পক্ষ কারোর বিরুদ্ধে গোল করতে সমর্থ হয়নি। মুখ্যত: গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ত্রিবেণী সংঘের চেনচিন মাওয়াই একটি গোল করে দলকে এক-শূন্যতে এগিয়ে দেয়। পাঁচ মিনিট বাদে আরেকটি গোল করে চেনচিন গোল ব্যবধান বাড়িয়ে দুই-শূন্য করে নেয়। গোল মেশিন এতটাই প্রকট হয়ে ওঠে ঠিক ৭ মিনিট বাদে আরও একটি গোল চেনচিন-এর পা থেকে এবং ব্যবধান ৩-০ হয়। চেনচিন-এর হ্যাট্রিকও হয়ে যায়। তবে ৭ মিনিট বাদে বীরেন্দ্র ক্লাবের অনবদ্য প্রয়াস একটু হলেও কার্যকরী হয়। শান্তাজয় রিয়াং একটি গোল করে ব্যবধান এক-তিন করে নেয়। তবে দুই অর্ধের খেলায় দু দলের চারজনকে রেফারি হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন। ম্যাচ পরিচালনায় ছিলেন রেফারি আদিত্য দেববর্মা, বিশ্বজিৎ দাস, পল্লব চক্রবর্তী ও শিবজ্যোতি চক্রবর্তী। দিনের খেলা: ফরওয়ার্ড ক্লাব বনাম জুয়েলস এসোসিয়েশন, বিকেল সাড়ে তিনটায়, উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে।