BRAKING NEWS

যাদবপুরের ঘটনায় রাজ্যপালকে দায়ী শিক্ষামন্ত্রীর, কক্ষত্যাগ বিজেপি-র

কলকাতা, ২২ আগস্ট (হি স)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যু এবং তার পরবর্তী ঘটনাবলীতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেকে দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনে যাদবপুর নিয়ে তর্কে বলেন, ‘‘২০২৩ সালে আমাদের রাজ্যে আরও একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করছে৷ নতুন রাজ্যপাল এসেছেন৷ তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পর পর নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী উপাচার্য বসিয়ে দিচ্ছেন। যাদবপুরে যে ঘটনাটি ঘটছে, তাতে রাজ্যপাল তো আমার মনে হয় একশো শতাংশ দায়ী ৷ একশো শতাংশ দায়ী ৷’’ এ কথা শুনে বিজেপি বিধায়করা বলেন, ‘‘আপনি র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে কথা বলুন।’’

বিধাসভায় উপাচার্য নিয়োগের প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যপাল একটি নির্দেশিকা পাঠাতে পারেন। তা কার্যকর করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। উপাচার্যকে বসিয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন তাঁর মধ্যে এই ঘটনা (যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু)।’’

এর পরই ব্রাত্যবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যপাল ১০০ শতাংশ দায়ী।’’ যাদবপুরে মাদকচক্রের অভিযোগে শুভেন্দুবাবু মঙ্গলবার বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেশ-বিরোধী শক্তির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে মাদক পাচার হয়, র‌্যাগিং হয়। ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ এ প্রসঙ্গে ব্রাত্যবাবু বলেন, ‘‘মাদক চক্রের কথা বলছেন। এটা নারকোটিক্স ব্যুরোর দায়িত্ব।’’ ব্রাত্যবাবুর এই মন্তব্যের পাল্টা বিজেপি বিধায়করা বলেন, ‘‘রাজ্যের হাতেও সংস্থা রয়েছে।’’ শুরু হয় দুপক্ষের তুমুল হইচই। সেই সময়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করেন।

শিক্ষামন্ত্রীর জবাবে সন্তুষ্ট হননি বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।তার পরই ‘শিক্ষামন্ত্রী হায় হায়’, ‘দলদাস প্রশাসন“, ‘ছাত্রঘাতী সরকার আর নেই দরকার“ প্রভৃতি শ্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের হাতে ছিল রাজ্যবিরোধী নানা পোস্টার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *