কলকাতা, ১৩ জুন (হি. স.) : পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে আদালত কোনও মতামত দেবে না। এই সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতেই ছেড়ে দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
একাধিক পর্যায়ে দু’দিন বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়,
* অনলাইনে মনোনয়ন পেশের আবেদন খারিজ।
* চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং এনসিসি ছেলেদের চতুর্থ পোলিং অফিসারের পরবর্তী কোনও পদে কাজে লাগাতে পারে রাজ্য।
* যে সমস্ত বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন, তা বজায় রেখেছে আদালত। যেখানে সিসিটিভি লাগানো যাবে না সেখানে ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। সেই ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে।
* এলাকার রাস্তায় লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও নজর রাখতে হবে।
* আইন অনুযায়ী পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
* অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে নির্বাচনের আবেদন খারিজ।
* শান্তিতে নির্বাচন করতে সমস্ত ব্যবস্থা করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
* পঞ্চায়েতের তিনস্তরে গণনা করতে হবে একসঙ্গে।
* সিভিক ভলান্টিয়ার্স ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। হাই কোর্টের সার্কুলারের বাইরে কোনও কাজে তাঁদের নিয়োগ করা যাবে না।
* রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিয়ে একেবারেই কাজ না করা গেলে তবেই ভোট প্রক্রিয়ায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করতে হবে। এদের চতুর্থ পোলিং অফিসার হিসাবে নিযুক্ত করা যাবে না।
* যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না সেখানে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর আরজি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধীরা।