BRAKING NEWS

ভিসিআর না পৌছানোয় মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধা, ক্ষোভ বিজেপির

বাঁকুড়া, ৯ জুন (হি. স.) : আগামী ৮ জুলাই রাজ্য পঞ্চায়েত ভোট। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। তা চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। কিন্তু মনোনয়ন পত্র তুলতে গিয়ে ডি সি আর না পৌঁছনোর কারনে মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধা পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির প্রতিনিধিরা।এই ঘটনায় জেলার বিভিন্ন ব্লকে উত্তেজনা দেখা দেয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন আচমকা পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে।তারপর থেকেই জেলা জুড়ে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে।তড়িঘড়ি নির্বাচন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা নির্বাচন ঘোষণাকে অনৈতিক দাবি করে কেউ কেউ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। অপরদিকে শাসক দলের বক্তব্য বিরোধীরা তৈরি নেই তাই এসব কথা বলছে। কিন্তু বাঁকুড়া জেলা জুড়ে শাসকদলের এই কটাক্ষের মোক্ষম জবাব দিতে দেখা গেল বিরোধী বিজেপিকে । রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা মত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই বাঁকুড়া জেলা শাসক কে রাধিকা আইয়ার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন শুক্রবার বেলা ১১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র তোলা যাবে। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। সেই ঘোষনা মতই শুক্রবার ব্লক অফিস খোলার আগেই প্রত্যেকটি ব্লকে বিপুল উৎসাহে বিজেপি কর্মীরা হাজির হয়। মনোনয়ন পত্র তোলার জন্য জেলার দুই সাংসদ ও বিধায়করাও উপস্থিত হন কিন্তু কোনো ব্লকেই সময়মতো ডি সি আর না আসায় মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধা পেতে হয় বিজেপি প্রার্থীদের । এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার ।
এদিন তিনি মেজিয়া ব্লক অফিসে দাঁড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সর্বদল বৈঠক না করে নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করা অনৈতিক। এনিয়ে প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছিলেন বিরোধীরা তৈরি নেই। তাই অভিযোগ তুলছে। সুভাষ বাবু এই মন্তব্যের জবাবে বলেন, আজ তিনি দেখুন আমরা তৈরি কি না। গোটা বাঁকুড়া জেলা জুড়ে আমরা প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র তুলতে এসেছি। কিন্তু কোথাও ফর্ম নেই তো আবার কোথাও ডিসিআর সময়মতো পৌঁছায়নি। ফলে মনোনয়ন পত্র তুলে তা জমা করতে পারছি না। ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপি দলবেঁধে মনোনয়ন পত্র তুলতে গিয়ে তা না পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘন্টাখানেক পর ফর্ম জেরক্স করে আনে কর্তৃপক্ষ। বড়জোড়ায়, মেজিয়া, শালতোড়া, ইন্দাস, কোতুলপুর সর্বত্র একই অবস্থা হয় বলে জানা গেছে।

গঙ্গাজলঘাটি মন্ডল সভাপতি ভাস্কর লাহা বলেন, দুপুর গড়িয়ে যাবার পর এখানে ২ ডিসিআর বই আসে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত না থাকায় সবাই মনোনয়ন তুলতে পারেন নি। এর জন্য দায়ী থাকবেন বিডিও বলে মন্তব্য করেন তিনি । জেলা প্রশাসন সুত্রে বলা হয় ডিসিআর পৌছাতে দেরি হয়েছে কোনও কোনও ব্লকে। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার প্রশ্ন তোলেন , ডিসিআর সময়মতো পৌঁছায়নি না কি পৌছাতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে ই-মেল করে অভিযোগ পাঠাবো।
বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, তৃণমূলের আজ্ঞাবহ দাস হলেন নির্বাচন কমিশনার। অনুপ্রেরণা পেয়ে তিনি ভাবছেন বিজেপি প্রস্তুত নেই তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে। সৌমিত্র বলেন, আমরা সারা বছর পড়াশোনা করেছি। তাই পরীক্ষা দিতে ভয় পাইনা। সেটা তো প্রথম দিনেই দেখিয়ে দিলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *