কলকাতা, ৬ মে (হি. স.) : মালদায় প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচির সেরে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফিরেও এসেছেন ট্রেনে চেপেই৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর সেই সফর ঘিরেই তৈরি হল বিতর্ক৷ সরাইঘাট এক্সপ্রেসে চড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদা সফর ঘিরে অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি পাঠালেন শুভেন্দু অধিকারী৷
বিধানসভার বিরোধী দলনেতার দাবি, মালদা যাওয়ার পথে গত বুধবার সরাইঘাট এক্সপ্রেসকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল৷ এতে রেলের আইন যেমন চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে, তেমনই রেলযাত্রীরা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন৷ বিষয়টিতে রেলমন্ত্রীকে নজর দেওয়ার অনুরোধ করে প্রতিবাদী চিঠি শুভেন্দুর৷
শনিবার একটি টুইটে সেই চিঠির প্রতিলিপি এবং কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী রেলের আইন ভেঙেছেন, তা সোশাল মিডিয়ায় পুঙ্খানুপুঙ্খ পোস্ট করেছেন বিজেপি বিধায়ক।
বুধবার সরাইঘাট এক্সপ্রেসে মালদা যাওয়ার পথে বর্ধমান, বোলপুর স্টেশনে ট্রেন থামলে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলা নেতৃত্বকে পরামর্শও প্রদান করেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ আর তাতেই বরাদ্দ সময়ের তুলনায় স্টেশনগুলিতে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে অনেক বেশি সময়৷
চিঠিতে সে কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু ৷ চিঠির প্রতিলিপি শেয়ার করে বিরোধী দলনেতা টুইটে লিখেছেন, “৩ মে, হাওড়া-গুয়াহাটি সরাইঘাট এক্সপ্রেসে যাত্রী পরিষেবায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিঘ্ন ঘটা নিয়ে মাননীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে একটি চিঠি লিখেছি ৷ যেখানে একজন যাত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা ট্রেনটিকে কার্যত হাইজ্যাক করে নেন।”
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ট্রেনে আকছার সফর করলেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় কর্মসূচিতে যোগদান করেন কপ্টারেই৷ তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিয়োগ দুর্নীতি-সহ নানা ইস্যুতে দল যখন খানিকটা কোণঠাসা, তখন সম্প্রতি মালদা সফরে মুখ্যমন্ত্রী গেলেন ছক ভেঙে৷ আরও বেশি করে জনসংযোগের কারণেই হয়তো হেলিকপ্টারের পরিবর্তে ট্রেনে চড়েই সফর করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা অন্তত তেমনটাই৷