BRAKING NEWS

তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বেও ঘর গোছাতে হোঁচট খাচ্ছে বিজেপি

কলকাতা, ২৪ এপ্রিল (হি. স.) : পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দলের তরফে রূপরেখা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গোড়াতেই গলদ। প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বুথে কমিটিই তৈরি করা যায়নি। তা হলে সিংহভাগ বুথে যেখানে কমিটি নেই সেখানে এইসব রূপরেখা পালিত হবে কী করে? পর্যাপ্ত কর্মী বা দলের প্রার্থী কিভাবে সেখানে পাওয়া যাবে, প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই।

দলের অন্দরে অমিত শাহর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সুনীল বনশল এবং মঙ্গল পাণ্ডে— এই দু’জনকেই বাংলার পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। জেলায় জেলায় ঘুরে দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্টও গত কয়েকমাসে সংগ্রহ করেছেন সুনীল ও মঙ্গল। বঙ্গ বিজেপির সংগঠনে কোথায় গলদ রয়েছে, বুথের দুর্বল অবস্থা, নিচুতলায় কর্মীর অভাব, ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে পুরনোদের মধ্যে। এসব কিছুই রিপোর্টে উল্লেখ করে অমিত শাহ ও নাড্ডার কাছে জমা দিয়েছেন তাঁরা। একুশের ভোটের পর থেকেই বিজেপির গ্রাফ নিম্নমুখী। দলের মধ্যে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব চলছেই। এসব কারণ, পাশাপাশি দলীয় রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে একগুচ্ছ রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বুথ ও মণ্ডল কমিটি। পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর বিষয়টি দেখবে জেলা কমিটি। এবং জেলা পরিষদের প্রার্থী চূড়ান্ত করবে রাজ‌্য কমিটি। এক্ষেত্রে জেলা কমিটির সুপারিশ থাকতে পারে। পঞ্চায়েত সংক্রান্ত নির্দেশিকায় রয়েছে-

১) উপর থেকে প্রার্থী চাপানো যাবে না। নিচুতলার মতকে গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ, একুশের ভুল করতে চাইছে না গেরুয়া শিবির।

২) প্রার্থী করার ক্ষেত্রে আমজনতার মতামতকেও গুরুত্ব।

৩) নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা পুরনো ও পরিচিতদের সক্রিয় করা দলের কাজে। প্রয়োজনে তাঁদের মধ্যে পরিচিত মুখদেরও প্রার্থী করা যেতে পারে।

৪) আর ভোট বাড়াতে নিচুতলার দরজাও সতর্কভাবে খোলা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সিউড়িতে এসে দলীয় বৈঠকে অমিত শাহও বলে গিয়েছেন, অন‌্য দলের থেকে কেউ আসতে চাইলে তাদের নিতে হবে।

৫) গতবার যেসব প্রার্থী পদ্মচিহ্নে জয়ী হয়েছিলেন, সক্রিয় থাকলে বা যোগাযোগ করা গেলে তাঁদের প্রার্থী করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *