চুঁচুড়া, ২৩ এপ্রিল(হি.স.) : শিক্ষকের ‘যৌন লালসার’ শিকার বছর পনেরোর নাবালিকা ছাত্রী । পারেননি। অভিযোগ, মেয়েটিকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত শিক্ষক। পরে পরিবারের তরফে জানাজানি হতেই অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত শিক্ষক। ধৃতকে রবিবার চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিক্ষক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। পার্ট টাইমে তিনি আবার প্রাইভেট টিউশনিও করেন। পাশাপাশি ক্রিকেট কোচিংয়ের অ্যাকাডেমিও চালান তিনি। অভিযুক্তের কাছে ওই নাবালিকা দীর্ঘ দু’বছর ধরে প্রাইভেটে পড়াশোনা করতে যেত। পাশাপাশি মেয়েটি তার কাছে ক্রিকেট খেলাও শিখতে যেত। মেয়েটির মামার অভিযোগ, গত এক বছর ধরে তাঁর ভাগ্নিকে ভয় দেখিয়ে যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে অভিযুক্ত। মাস খানেক আগেও ধর্ষণ করে তাকে।
বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয় ভাবে মেটানোর চেষ্টা করা হয়। না মেটায় গতকাল রাতে গুপ্তিপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। নাবালিকার মামা জানান যে অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁর ভাগ্নিকে একটি মোবাইল ফোনও দেয়। সেখানেই একটি মেসেজ থেকে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। অভিযুক্তের স্ত্রী জানান, “মেয়েটা ইচ্ছাকৃতভাবে আমার স্বামীকে ফাঁসাল। আমার স্বামী যে এমন করতে পারে তা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। মেয়েটা আমাদের বাড়িতে ব্যাচে পড়তে আসত।” প্রসঙ্গত, মেয়েটির বাবা নেই। সেই কারণে সে মামার বাড়িতে মানুষ।