নদিয়া, ২৪ মার্চ (হি স)। মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রী ও মেয়েদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে নিজের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনায় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের এই ঘটনা ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পরিবারের অভিযোগ, প্রায়ই নেশা করে এসে বাড়িতে অশান্তি করতেন অনির্বাণ। প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রী এবং মেয়েদের মারধর করতেন। এমনকি নিজের মায়ের কাছ থেকেও জোর করে টাকা আদায় করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে এসেই খাবার দিতে বলেন স্ত্রীকে। খাবার নিয়ে আসার পরই স্ত্রীর উপর চড়াও হন অনির্বাণ। তাঁকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করা হয়।
মাকে বাঁচাতে এসে মার খায় দুই মেয়েও। এরপর স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালান এই মহিলা। অদূরেই থাকেন অনির্বাণের মা। মেয়েদের নিয়ে সেখানেই আশ্রয় নেন অনির্বাণের স্ত্রী। ফাঁকা বাড়ির ঘরে অনির্বাণ আগুন লাগিয়ে দেন। দাউ দাউ করে ঘরের আসবাপত্র জ্বলতে থাকে কিছুক্ষণের মধ্যেই টালির চালের বাড়ি পোড়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। দমকল আসার আগেই প্রতিবেশীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
পরে অনির্বাণের বড় মেয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তিথি থানায় বাবার নামে লিখিত অভিযোগ করে। অনির্বাণে বৃদ্ধা মা বলেন, ছেলে রোজই মদ্যপ অবস্থায় মেয়ে-বউদের মারধর করত। পাড়ার লোকজনও জানান, বাড়িতে নিত্যই অশান্তি লেগে থাকত।
পুলিশ জানায়, অনির্বাণ সেন নামে ওই ব্যক্তি পেশায় বেসরকারী সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী। ঘটনার পর থেকে পলাতক অনির্বাণ।