মদ ও গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করায় ক্যানিংয়ে আক্রান্ত দম্পতি, তদন্ত শুরু পুলিশের

ক্যানিং, ৫ মার্চ (হি.স.): বেআইনি ভাবে মদ ও গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করায় এক দম্পতিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার অন্তর্গত বাহিরসোনা বিশ্বাস পাড়ায়। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন রমা দাস ও তাঁর স্বামী দীপক দাস। রমার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মাস ছয়েক আগে রমাদেবী তাঁরই প্রতিবেশী রাখি দাসের বেআইনি মদ, গাঁজা বিক্রির প্রতিবাদ করেছিলেন। রাখি নিজের বাড়িতে মদ, গাঁজা বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। সেখানে মানুষজন এসে নেশা করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, অশ্রাব্য কথাবার্তা বলে, আর সেই কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন রমা। সেই সময় রমা ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত রাখি ও তাঁর পরিবার। শনিবার রাতে কলকাতা থেকে কাজ সেরে স্বামীর সঙ্গে সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার সময় আচমকা তাঁদের উপর হামলা চালায় রাখি দাস ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

রাখির জামাই মিঠুন বিশ্বাস ও ছেলে সুব্রত দাসের নেতৃত্বে চলে মারধর বলে অভিযোগ। সাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে বেধড়ক লাথি, ঘুষি মারা হয় দু’জনকেই। ঘটনায় রমার মুখ ফেটে যায়। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন বেড়িয়ে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। স্থানীয় মানুষজন আক্রান্তের পরিবারকে খবর দিলে তাঁরা এসে তড়িঘড়ি রমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এ বিষয়ে রাতেই ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। তবে রবিবার সকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই আটক অথবা গ্রেফতার করেনি পুলিশ।