BRAKING NEWS

যশস্বী কবি নীলমণি ফুকনের প্রয়াণে গভীর শোকাহত মুখ্যমন্ত্ৰী, রাজ্য মৰ্যাদায় ভূতনাথে সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য

কোন চার ইচ্ছা পূরণ করতে বলে গেছেন প্রয়াত ‘কাব্যঋষি’

গুয়াহাটি, ১৯ জানুয়ারি (হি.স.) : জ্ঞানপীঠ পুরস্কার বিজয়ী, ‘কাব্যঋষি’, নীলমণি ফুকনের প্রয়াণে গভীর শোকাহত মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা। যশস্বী কবির মৃত্যুতে রাজ্যের সাহিত্য জগততো বটেই, শোকাহত বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পদাধিকারী সহ অসংখ্যজন। তাঁর ইচ্ছানুসারে অনাড়ম্বরভাবে ‘গোলাপী জামুর লগ্ন’-এর স্রষ্টা নীলমণি ফুকনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ভূতনাথ শ্মশানে।

যশস্বী কবির একটি ছবি সহ সামাজিক মাধ্যমে তাঁর প্রয়াণে শোক ব্যক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘সাহিত্য সৃষ্টির মাধ্যমে অসমের সমাজজীবনকে যে সকল মহাত্মা ধন্য করে গেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্ৰ ছিলেন কাব্যঋষি নীলমণি ফুকন। অসাধারণ কাব্যশিল্পের মাধ্যমে বিশিষ্ট এই কবি অসমিয়া সাহিত্যজগতে যে অনন্য অবদান রেখে গেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

মুখ্যমন্ত্ৰী আরও বলেন, জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে বিভূষিত নীলমণি ফুকন অসমিয়া কবিতা-ভাষা-সাহিত্যকে উচ্চ শিখরে কেবল উত্তলন করে গেছেন তা নয়, সৃষ্টিশীলতার অনন্য পরিভাষা জাতিকে অধিক এগিয়ে নিয়ে গেছে। এমন নক্ষত্রের বিয়োগ অসম এবং অসমিয়া জাতিসত্তার কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। মুখ্যমন্ত্ৰী বিশিষ্ট কবির আত্মার চিরিশান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন৷

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দিশে কাব্যঋষি নীলমণি ফুকনের শেষকৃত্য সম্পূৰ্ণ রাজ্য মৰ্যাদায় সম্পন্ন করা হবে৷ আজ বৃহস্পতিবার গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সকাল ১১:৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ৯০ বছরের কবি৷ হাসপাতাল থেকে মরদেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ বাড়িতে শাস্রীদেয় ক্রিয়াদি সম্পন্ন করে বিকেলের দিকে কবির মরদেহ ভূতনাথ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জীবদ্দশায় কবি নীলমণি ফুকন তাঁর চারটি ইচ্ছার কথা বলে গেছেন। প্রথমত, তাঁর মৃত্যুর পর মৃতদেহ নিয়ে এখানে-সেখানে ঘোরানো চলবে না, যদি হাসতাপালে মৃত্যু হয়, তা-হলে মরদেহ প্রথমে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যেতে এবং বাড়ি থেকে সোজা ভূতনাথ শ্মশানে, মোটেও হইচই যেন করা না হয়; দ্বিতীয়ত, তাঁর মৃত্যুর পর যেন তাঁকে নিয়ে কোনও কাব্য বা বই রচনা করা না হয়। একেবারে অনাড়ম্বরভাবে সম্পন্ন করতে হবে শেষকৃত্য; তৃতীয়ত, মৃত্যুর পর কোনও অনুষ্ঠানের (ঔ্রদ্ধদৈহিক ক্রিয়াদি) আয়োজন করা হলে তাতে বেশি মানুষ ডেকে হুলস্থুল করা যাবে না; চতুর্থ তথা শেষে তিনি বলে গেছেন, তাঁর নামে কোনও স্মৃতিরাক্ষা সমিতি গঠন করা হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *