BRAKING NEWS

মধ্যযুগীয় বর্বরতা ! মহিষাদলে বিজেপি করার অপরাধে এক ঘরে ৫টি পরিবার

মহিষাদল, ৮ জানুয়ারি (হি. স.) মধ্যযুগীয় বর্বরতা আজও বিদ্যমান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে। মহিষাদল থানার অন্তর্গত রঙ্গিবসান গ্রামের বাসিন্দা গুরুপদ বাড়ই, স্বরূপ ঘোড়াই সহ আরও চারটি পরিবারকে জমি জায়গার সংক্রান্ত বিবাদে ও বিজেপি করার অপরাধে রঙিবসান উত্তর পল্লী কমিটির পক্ষ থেকে এক ঘরে করে রাখা হয়েছে।

রবিবার রঙ্গি বসান গ্রামের শ্রী শ্রী শীতলা মায়ের ভোগ প্রসাদ বিতরণের অনুষ্ঠান ছিল সেই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকায় তারা পোস্টার লাগিয়ে দেয় এই কয়েকজনকে পুজোয় অংশগ্রহণ করা যাবে না এমনকি তাদের যদি অন্য কোন প্রতিবেশী বাড়িতে নিমন্ত্রন্ন করে খাওয়া তাদেরও জরিমানা হবে তাদেরকেও একঘরে করে রাখা হবে। এবং আর্থিক জরিমানা করা হবে।
এই ঘটনা নিয়ে স্বরূপ ঘোড়াই বলেন, সকালে আমার বাড়ির পাশে একটি গাছে এই পোস্টারটি লেখা ছিল আমাদের এক ঘরে করে রাখা হয়েছে কেউ যদি আমাদের প্রসাদ দেয় তাকেও এক ঘরে করা হবে কারণ আমরা বিজেপি করি বলে আমাকে বহুবার জরিমানাও করেছে প্রশাসনিক দফতরের সাহায্য চাতে আমার কিছু জমি দখল করে নিয়েছিল সেটি আমি উদ্ধার করি।

লক্ষ্মী রানী ঘোড়াই বলেন, সকালে উঠে দেখি গাছে পোস্টার লাগানো যারা ভোগ দেবে এবং বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াবে তাদের এক ঘরে করা হবে এবং আর্থিক জরিমানা হবে। আমরা আট বছর এক ঘরে রয়েছি। পাড়ায় কেউ মরে গেলে আমাদের বলে না কাজ করতেও দেয় না। বিয়ে বাড়িতে ডাকে না।
গুরুপদ বাড়ই বলেন, কি কারনে আমাকে এক ঘরে করেছে আমি তো জানিনা।

পল্লী কমিটির মেম্বার সুকুমার পাত্র বলেন আমরা জানিনা পল্লী কমিটিকে কেউ বা কারা অপবাদ দেওয়ার জন্য এই কাজটি রাতের অন্ধকারে করেছে। সমস্ত বিষয়টি এনিয়ে এড়িয়ে যেতে চাইছেন।
এ নিয়ে তাম্রলিপ্ত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন ব্যানার্জি বলেন, মধ্যযুগীয় বর্বরতা এটি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। কোন সমস্যা থাকলে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া উচিত। ভারতীয় জনতা পার্টি যাদের করে তাদেরকেই এই বয়কট করেছে।

এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, এটা বিজেপি চক্রান্ত যত ভোট এগিয়ে আসছে তাদের এটা চটকদারি আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দেবো সঠিক তদন্ত করার জন্য। দোষীদের বিরুদ্ধে আয়না লোক ব্যবস্থা করার জন্য। সংবাদ মাধ্যমে অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য বিজেপি এই কাজ করছে। যারা রাতের অন্ধকারে এই কাজটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে বলবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *