দুর্গাপুর, ১ জানুয়ারি (হি. স.) ফের স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে আটকে দুঃসাহসিক ছিনতাই। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল বমাল। উদ্ধার হল জিনিসপত্র। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে লাউদোহার ইছাপুর এলাকায়। রবিবার ধৃতদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন খারিজ করে দেন।
ঘটনায় জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মত অন্ডালের উখড়া বাজারে দোকান বন্ধ করে দুর্গাপুরে বাড়ি ফিরছিলেন স্বর্ন ব্যাবসায়ী দয়াময় দত্ত। তিনি জানান,” ইছাপুর গ্রামে ঢোকার আগেই একটা ফাঁকা জায়গায় দুইজন বাইক আরোহী গাড়ি আটক করে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার গহনাসহ, একটা ল্যাপটপ, দোকানের চাবি ও টাকা পয়সা লুট করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি লাউদোহা থানার পুলিশকে জানায়।” খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর থানার পুলিশ, উখড়া ফাঁড়ি ও লাউদোহা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে পাণ্ডবেশ্বর ডালুরবাঁধ এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন মনোজ বর্মা নামে স্বর্ণ ব্যবসায়ী। গত ২০২০ সালের ১৪ আগষ্ট ভর সন্ধ্যায় বুদবুদ সুকান্তনগরে এক স্বর্নব্যাবসায়ীকে গুলি করে গহনা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় দুস্কৃতীরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি কার্তুজের খোল ও দুস্কৃতীদের একটি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করে। যদিও ঘটনার কয়েকদিন পর ৫ দুস্কৃতী গ্রেফতার হয়। তারপর এদিনের ঘটনায় খবর চাউর হতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। যদিও পুলিশ উখড়া বাজারের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে নামে। পুলিশি তৎপরতায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ছিনতাই কারীদের সন্ধান পায় পুলিশ। ছিনতাইয়ে যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে। ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি বাইক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম কৃষ্ণ ঘোষ , সুজন বাউরী ও কিরণ রুইদাস। যার মধ্যে একজন বাঁকুড়ার বাকি দুজন দুর্গাপুরের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, “ধৃতদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া প্রায় সব কিছু উদ্ধার হয়।” রবিবার ধৃতদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন খারিজ করে পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।