গুন্টুর, ১ জানুয়ারি (হি.স.): এক সপ্তাহের মধ্যে তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর কর্মসূচিতে ফের বিশৃঙ্খলা। রবিবার বছরের প্রথমদিনই, অন্ধ্রপ্রদেশে গুন্টুরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল অন্তত ৩ ব্যক্তির। রেশন নেওয়াকে কেন্দ্র করে জনতার মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতেই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গত বুধবারই (২৮ ডিসেম্বর) চন্দ্রবাবু নাইডুর এক রোড শোকে কেন্দ্র করে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল নেলোর জেলার কান্দুকুরে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল দুই মহিলা-সহ আট জনের। গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও অনেকে। সেই ঘটনার ভয়াবহতার রেশ কাটতে না কাটতেই, ফের চন্দ্রবাবুর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আরও এক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গেল।
বছরের প্রথম দিনে গুন্টুরে টিডিপি দলের পক্ষ থেকে ‘সংক্রান্তি কানুকা’ অর্থাৎ বিশেষ রেশন দেওয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। সেই রেশন পেতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। চন্দ্রবাবু নাইডু যতক্ষণ সেখানে ছিলেন, শৃঙ্খলা বজায় ছিল। কিন্তু, তিনি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার পরই ছড়ায় বিশৃঙ্খলা। রেশন নেওয়াকে কেন্দ্র করে জনতার মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতেই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সূত্রের খবর, হতাহতদের গুন্টুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে নেলোরে রোডশোতে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় নিহত আটজনের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৪ লক্ষ টাকা করে এক্স গ্রাশিয়া দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে টিডিপি দল। প্রাথমিকভাবে মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ করা হয়। দলের নেতারা আলাদাভাবে নিহতদের পরিবারবর্গকে আরও ৯ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
ওই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছিলেন চন্দ্রবাবু। শাসক ওয়াইএসআর কংগ্রেস তাঁকে কটাক্ষ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি দাবি করেছিলেন, ওই দুর্ঘটনার জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই দায়ী। তাঁর ‘প্রচারের লোভে’র বলি হয়েছেন নিহতরা। প্রকাশ্যে তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তোলেন তিনি। সেই বিতর্কের রেশ মিটতে না মিটতে নতুন মাত্রা যোগ হল বিতর্কের পারদে। এদিনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়নি।