BRAKING NEWS

বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস রাজ্যের মানুষকেঠকিয়ে আসছে ঃ সাংসদ বিপ্লব দেব

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২৯ ডিসেম্বর৷৷  প্রকাশ্য বিরোধীতার আড়ালে কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেসের গোপন বন্ধুত্ব এখন জনসমক্ষে প্রকাশ্য৷ এভাবেই তারা রাজ্যের মানুষকে দীর্ঘদিন ঠকিয়ে এসেছে৷ ভারতীয় জনতা পার্টির গোলাঘাটিতে মন্ডল তপশিলি জাতি মোর্চা আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই বাম ও কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব৷ এদিন বিভিন্ন দল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে আগতদের দলীয় পতাকা হাতে স্বাগত জানান তিনি৷ ভাবি প্রজন্মের উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান রাখেন তিনি৷
বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ত্রিপুরা সহজ সরল বিরোধীদলের সমর্থকরা দীর্ঘ ২৫ বছর বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে তাদের জীবন এবং ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে৷ কংগ্রেস প্রকাশ্যে কমিউনিস্ট এর বিরোধিতার নাটক মঞ্চস্থ করলেও গোপনে ব্যক্তি স্বার্থে রাজনৈতিক আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে পর্দার আড়ালে ছিল কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের আতাত৷ এভাবেই তারা দীর্ঘ বছর যাবত রাজ্যের মানুষকে ঠকিয়ে এসেছে৷ তবে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনকে তাদের এই বন্ধুত্ব এখন প্রত্যেকের কাছে স্পষ্ট৷ রাজনৈতিক কারণে আক্রান্ত এবং সুবিধা বঞ্চিত মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক উপায়ে মোক্ষম জবাব দেবে আসন্ন নির্বাচনে৷
তিনি বলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বদাই মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ৷ সর্বশেষ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিটি পালন করেছে বিজেপি এবং রাজ্য সরকার৷ ২০০০ টাকা সামাজিক ভাতা থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারী এবং সমস্ত অংশের নাগরিকদের কল্যাণে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করেছে সরকার৷ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যখন বিভিন্ন রাজ্য কর্মচারীদের মাইনে কাটছিল ঠিক সেই সময়েও ৩ শতাংশ ডিএ দিয়ে গোটা দেশে প্রশংসা কুড়িয়েছিল ত্রিপুরা সরকার৷ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই দ্বিতীয় ধাপে ৫ শতাংশ এবং অতি সম্প্রতি ১২ শতাংশ ডিএ প্রদানের মাধ্যমে কর্মচারী স্বার্থসন্তিষ্ট বিষয়ে সরকার কতটা আন্তরিক তার প্রমাণ মিলেছে৷
বিগত দিনে মানুষের গরিব বানিয়ে রাখাই ছিল কমিউনিস্টদের অন্যতম হাতিয়ার৷ উপরন্তু নানা কায়দায় নানা ভাবে চাপিয়ে দেওয়া হতো চাঁদার জুলুম৷ জনসমর্থন খুইয়ে এখন অনলাইনে ডিজিটালি চাকা সংগ্রহের অভিনব পন্থা অবলম্বন করছে কমিউনিস্টরা৷ কিন্তু দীর্ঘ সময় ক্ষমতার মসনদে বসে থাকলেও মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক চাহিদা এবং প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি তারা৷ কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার প্রত্যন্ত এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাস, ন্যাশনাল হাইওয়ে সহ অন্যান্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে৷ সরকারি সঠিক ব্যবস্থাপনায় এবং প্রদর্শিত পথে রাজ্যের যুবকরা চাকরির পাশাপাশি অভিনব পন্থায় নিজেদের রোজগারের পথ খুঁজে পেয়েছেন৷ অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত কেন্দ্র রাজ্য দুই সরকারের সমস্ত পরিষেবার সুফল পৌঁছে দেওয়াই অন্যতম লক্ষ্য৷ এদিনের কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোলাঘাটি কেন্দ্রের বিধায়ক সহ তপশিলি জাতির মোর্চার সভাপতি এবং অন্যান্য পদাধিকারীরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *